মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ বছরের নাবালকের সঙ্গে ৩১ বছরের মহিলার অবাধ যৌনতা! শুধু তাই নয়, ওই নাবালকের সন্তানের জন্মও দেন তিনি। তার পরও যৌন হেনস্থার মামলায় জেলে যেতে হচ্ছে না অভিযুক্ত মার্কিন মহিলাকে। অবাক হচ্ছেন তো? তবে এটিই সত্যি। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার (America) কলোরাডোতে। ২০২২-এ যৌন হেনস্থার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ। কিন্তু বর্তমানে তিনি জেলের বাইরেই রয়েছেন। তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন জেলে যেতে হচ্ছে না তাঁকে?
ঠিক কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে, সেই ৩১ বছরের মহিলার নাম আন্দ্রেয়া সেরানো। তদন্তকারীদের দাবি, বছর ১৩-র এক নাবালকের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে প্রথমে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন অভিযুক্ত মহিলা। পরবর্তীকালে শুরু হয় যৌন নির্যাতন। নির্যাতিতর সঙ্গে জোর করে বহুবার যৌন মিলনে লিপ্ত হন তিনি। এরপরই এব্যাপারে জানতে পেরে নাবালকের মা পুলিশের দ্বারস্থ হন। আন্দ্রেয়ার বিরুদ্ধে মূলত দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এক, বিশ্বাসভঙ্গ। দুই, নাবালকের উপরে যৌন নির্যাতন। গত জুনে তিনি গ্রেফতারও হন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরের সঙ্গে যৌনতার কথা স্বীকারও করে নেন। এরপরই জানা যায়, তিনি অন্তঃসত্ত্বা ও জেলেই তিনি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন (America)।
আরও পড়ুন: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?
কেন তিনি জেলের বাইরে?
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, আন্দ্রেয়ার আইনজীবীরা সরকারি আইনজীবীদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন। যার ফলস্বরূপ ‘যৌন অপরাধী’র তকমা আন্দ্রেয়াকে মেনে নিতে হবে ও এর জন্য তাঁকে হাজতবাস করতে হবে না। সেই হিসেবেই আপাতত বাইরে রয়েছেন অভিযুক্ত মহিলা। তবে মামলাটি এখনও চলছে। তাঁর শিশুটি তাঁর কাছেই রয়েছে।
নাবালকের মা কী বললেন?
অন্যদিকে এই চুক্তি মানতে নারাজ নাবালকের মা। তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, “আমার ছেলের শৈশব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তাঁকে বাবা হতে হয়েছে। গোটা জীবন ধরে এই ভার তাঁকে বয়ে যেতে হবে।” তিনি প্রশ্ন করেছেন, “নির্যাতিতর লিঙ্গ আলাদা হলে, অর্থাৎ ছেলের বদলে কোনও মেয়ে হলে কি অভিযুক্তকে এভাবে ছেড়ে দেওয়া হত?”
উল্লেখ্য, আমেরিকার (America) আইন অনুযায়ী, কোনও নাবালক যৌন হেনস্থার শিকার হলে, অভিযুক্তের ১০ বা তার বেশি বছরের জেল হতে পারে। ফলে পরবর্তীতে আন্দ্রেয়ারও ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours