মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার রাজ্যে বিধানসভার ফল ঘোষণা হয়েছে গত ৩ ডিসেম্বর। রাজস্থান, ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটি সাধারণ মিল। তা হল, প্রত্যেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক। ১৯২৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয় আরএসএস-এর। সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক এই সংগঠন ব্যক্তি নির্মাণের মাধ্যমে রাষ্ট্রনির্মাণ নীতিতে বিশ্বাস রাখে। ১৯৫১ সালে জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার পরে বা ১৯৮০ সালে বিজেপির প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে বহু আরএসএস প্রচারক বসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও আরএসএস-এর প্রচারক। তিনিও ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন। এছাড়া হরিয়ানার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরও সঙ্ঘের প্রচারক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। এবার ৩ রাজ্যে বসলেন আরএসএস-এর ৩ কর্মী।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত আরএসএস-এর সঙ্গে
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলা ভজনলাল শর্মা দীর্ঘদিন ধরেই করেছেন আরএসএস-এর কাজ (RSS)। তিনি ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯০ সালে কাশ্মীর থেকে পণ্ডিতদের বিতাড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে এবিভিপি। সক্রিয় ছিলেন ভজনলাল। কাশ্মীর আন্দোলনে সামনের সারিতেই দেখা যায় তাঁকে। ১৯৯২ সালের রামজন্মভূমি আন্দোলনেও তিনি ছিলেন।
মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীও আরএসএস-এর কর্মী
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) আদর্শে বড় হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি ছিলেন সে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই-এর নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা হতেই তিনি হাজির হন ছত্তিসগড় রাজ্যের আরএসএস-এর সদর কার্যালয়ে। জানা যায়, বিষ্ণু দেও সাই-এর পুরো পরিবারই আরএসএস ঘনিষ্ঠ। তাঁর বাবাও ছিলেন দীর্ঘদিন ভারতীয় জনসঙ্ঘের বিধায়ক। আবার ১৯৭৭ সালে তাঁর বাবা জনতা পার্টির টিকিটে সাংসদও হন। আদিবাসী সমাজের অন্যতম মুখ তথা এই আরএসএস-এর স্বয়ংসেবককে এবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয় বিজেপি।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সাতসকালেই ইডি-র হানা
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours