মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুসপ্তাহের টানাপোড়েন। অবশেষে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে পা রেখেছিলেন নির্বাচনী রাজনীতিতে। শেষ মুহূর্তে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে 'মহা বিকাশ আঘাডি' জোটের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মসনদে বসেছিলেন উদ্ধব। কিন্তু এত ঘটা করে সিংহাসনে বসেও শেষ রক্ষা হল না। মাত্র আড়াই বছরেই ভেঙে গেল উদ্ধব রাজত্ব। ছাড়লেন বিধান পরিষদের সদস্য পদও। ইস্তফা দিয়েই বলেছেন কোনও আফসোস নেই। সত্যিই কী শুরু থেকেই পদের প্রতি এতটা নির্মোহ ছিলেন উদ্ধব?
আরও পড়ুন: আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির
মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অবস্থা যখন টালমাটাল তখন রাজ্যবাসীর মন পেতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি উদ্ধব। শেষবেলায় ফের হিন্দুত্বের পথেও হেঁটেছেন তিনি। গতকালই ঔরঙ্গাবাদের (Aurangabad) নাম পরিবর্তন করে সম্ভাজিনগর করার অনুমোদন দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন রাজ্য মন্ত্রিসভা! মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নামে নয় এবার ছত্রপতি শিবাজির ছেলে শম্ভাজির ( Sambhajinagar) নামে শম্ভাজিনগর হতে চলেছে ওই এলাকার নাম। ওসমানাবাদেরও (Osmanabad) নাম পাল্টে হচ্ছে ধারাশিব (Dharashiv)। হায়দ্রাবাদের শেষ নবাব মীর ওসমান আলি খানের নামে ছিল এই শহরের নাম। এই দুই শহরের নাম বদলের দাবি বহুদিনের। মারাঠা ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারকে প্রমাণ করে ঘুরে দাঁড়ানোর শেষ চেষ্টাটি করেছিলেন উদ্ধব।
এই সিদ্ধান্ত যে নিজের হিন্দুত্ববাদ প্রমানের মরিয়া চেষ্টার ফসল তা সহজেই বোঝা যায়। অর্থাৎ ইস্তফার কয়েক ঘণ্টা আগেও আশা ছাড়েননি উদ্ধব। কিন্তু তরী ডোবা আটকানো যায়নি।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?
সুত্রের খবর, এই প্রস্তাবে একেবারেই রাজী ছিল না শিবসেনার জোটসঙ্গী এনসিপি। তবে এদিনের বৈঠকের শেষ তিন মিনিটে আবেগপ্রবণ ঠাকরে কংগ্রেস ও এনসিপিকে ধন্যবাদ জানায় পাশে থাকার জন্য। এই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরেই ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানান উদ্ধব ঠাকরে।
উদ্ধবের এমন পরিণতিতে বিভিন্ন মহলের বিভিন্ন বক্তব্য সামনে আসছে। অনেকেই মনে করছেন, বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি থেকে সরে এসে ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে ঝোঁকার মতো সিদ্ধান্ত উদ্ধবের বিপক্ষে গিয়েছে। অনেকে আবার ছায়াসঙ্গী তথা দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকেও উদ্ধবের পতনের জন্য দায়ী করেছেন।
+ There are no comments
Add yours