মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভা চলাকালীন হইহট্টগোলের অভিযোগে মঙ্গলবার রাজ্যসভার মোট ১৯ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। এঁদের মধ্যে সাত জন তৃণমূলের। সুস্মিতা দেব, মৌসম বেনজির নুর, দোলা সেন এবং শান্তনু সেন, শান্ত ছেত্রী, নাদিমূল হক, অবীররঞ্জন বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। এছাড়া ডিএমকের হামিদ আবদুল্লা, আর গিরিরাজন, এনআর এলাঙ্গো, এম শানমুগান এবং কানিমোঝি, সিপিএমের এএ রহিম এবং ভি শিবাদাসান, টিআরএসের বি লিঙ্গাইয়া যাদব, রবীহান্দ্রা ভাদ্দিরাজু এবং দামোদর রাও দিভাকোন্দা, সিপিআইয়ের সন্তোষ কুমারকেও সাসপেন্ড করা হয়৷ শাস্তিপ্রাপ্ত সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে বারবার পণ্ড হয় অধিবেশন৷ স্বাভাবিক কাজকর্ম চালাতে অসুবিধা হয়৷ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা আর রাজ্যসভার বিতর্কে অংশ নিতে পারবেন না।
গতকাল সোমবার পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় লোকসভার চার কংগ্রেস সাংসদকে৷ তাঁরা হলেন এম টেগোর, রামইয়া হরিদাস, জ্যোতিমণি এবং টিএন প্রতাপন৷ আগামী ১২ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে বাদল অধিবেশন৷ ওই চার কংগ্রেস সাংসদের আচরণে ক্ষুব্ধ হন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা৷ অধিবেশন চলাকালীন তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান৷ ওম বিড়লা তাঁদের সতর্ক করলেও সেকথা কানে তোলেননি তাঁরা৷ তখন তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন অধ্যক্ষ৷
আরও পড়ুন: সংসদ চত্বরে প্ল্যাকার্ড বহন ও বিক্ষোভ! বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড চার কংগ্রেস সাংসদ
এদিন ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রস্ফীতি, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও আইনের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় লাগাতার স্লোগান দিচ্ছিলেন তৃণমূল সহ বিরোধী একাধিক দলের সাংসদ। ওয়ালে নেমেও বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। যার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিরোধী সাংসদদের এই আচরণকে ‘নিয়ম বিরুদ্ধ’ বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। চলতি অধিবেশনের আগেই লোকসভা ও রাজ্যসভার সচিবালয়ে নির্দেশিকা জারি করে বেশ কয়েকটি শব্দ সভায় প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ, ধর্না প্রদর্শনও বন্ধ করা হয়েছে। যার প্রতিবাদে মুখর বিরোধী দলগুলি। নিষেধাজ্ঞা জারির পরও মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদরা সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ, ধর্না দেখিয়েছেন, তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।
বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই উভয় কক্ষেই হট্টগোল চলছে। ফলে বার বার বাধা পেয়েছে অধিবেশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল জানান, সরকার চায় আলোচনা করতে। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে। সরকারের কার্যাবলী তুলে ধরতে। কিন্তু বিরোধীরা হই হট্টগোল করে ক্রমাগত সভার কাজে বাধা দিলে শুধু শুধু সময় নষ্ট হবে। বিরোধীরা কোনও কথা বলতেই চায় না বলে জানান তিনি।
+ There are no comments
Add yours