Dakshin Dinajpur: ১০ বছর কাজ না করেই বেতন তুলছেন দন্ত চিকিৎসক! দক্ষিণ দিনাজপুরে শোরগোল

Malda: দক্ষিণ দিনাজপুরে এক দন্ত চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, কী হয়েছে জানেন?
Dakshin_Dinajpur
Dakshin_Dinajpur

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বা দু'দিন নয়। টানা ১০ বছর কাজ না করেই বেতন তুলছেন এক দন্ত চিকিৎসক। শুধু তাই নয়, তিনি এক জেলায় সরকারিভাবে নিযুক্ত থাকলেও বেতন তুলছেন অন্য জেলা থেকে। এই খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) চিকিৎসক মহলে।

ঠিক কী অভিযোগ? (Dakshin Dinajpur)

দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) অধিকাংশ হাসপাতালই চিকিৎসক অভাবে ধুঁকছে। সামান্য কয়েকজন চিকিৎসক নিয়ে হাসপাতালগুলি কোনওরকমে চলছে। এই পরিস্থিতিতে ১০ বছর আগে কুশমন্ডি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ডিটেইলমেন্ট পোস্টিংয়ে মালদা (Malda) মেডিক্যালে চলে যাওয়া এক চিকিৎসকের কাজ জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে কুশমন্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে পোস্টিং হয়েছিলেন মহিলা দন্ত বিশেষজ্ঞ সুস্মিতা মিত্র। কিন্তু, কোনও এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তাঁর ডিটেলমেন্ট পোস্টিং হয়ে যায় মালদা মেডিক্যালে। কুশমন্ডি হাসপাতালের একমাত্র দন্ত বিশেষজ্ঞ হয়েও তিনি ওই পদ ফাঁকা রেখে মালদায় কাজে যোগ দেন। ফলে কুশমন্ডি এলাকার বাদিন্দারা সরকারি হাসপাতালে দাঁতের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে কুমারগঞ্জের একমাত্র দন্ত বিশেষজ্ঞ কুশমন্ডি হাসপাতালে সপ্তাহে তিনদিন করে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ কুশমন্ডির দন্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে বেতন তুলছেন মালদা মেডিক্যালে চলে যাওয়া ওই মহিলা চিকিৎসক। বছরের পর বছর তিনি মালদা মেডিক্যাল থেকেই ওয়ার্কিং রিপোর্ট দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন। অথচ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কাজ না করেই তিনি ১০ বছর ধরে বেতন তুলছেন। ওই চিকিৎসকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: সন্দীপ, চার চিকিৎসক-পড়ুয়া কি সত্যি বলছেন? আজ হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক কী বললেন?

দুর্ভাগ্যের বিষয়, এতদিনেও বিষয়টি নজরে আসেনি দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) স্বাস্থ্য দফতরের। তবে, ওই মহিলা চিকিৎসকের ফাঁকা পদে যেমন কাউকে নিয়োগ করা হয়নি, ঠিক তেমনই মালদা মেডিক্যালেও তাঁকে স্থায়ী পোস্টিং দেওয়া হয়নি। ডিটেলমেন্ট পোস্টিং-এর অর্থ বিশেষ প্রয়োজনে। গত দশ বছর ধরে ওইভাবে তিনি ডিউটি করে যাচ্ছেন। কুশমন্ডি বিএমওএইচ অমিত দাস এনিয়ে কিছু বলতে না চাননি। তবে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, আমি কিছুদিন আগেই দায়িত্ব নিয়েছি। আসার পরেই আমার নজরে বিষয়টি এসেছে। তবে এই মুহূর্তে কুমারগঞ্জ হাসপাতাল থেকে একজন ডাক্তার সপ্তাহে তিনদিন ওখানে বসছেন। তবে, আমরা কুশমন্ডি হাসপাতালে শূন্যপদ দেখিয়ে চিকিৎসক চেয়ে স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়েছি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles