মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে ৯ বছরের বালককে পিষে মারল এক যুবক। রবিবার ঘটনাটি ঘটছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়ির দেবীনগর পাড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম শুভজিৎ রায় (৯)। তার বাড়ি ময়নাগুড়ি শহরের দেবীনগর এলাকায়। এখানেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে তার পরিবার। ঘটনার জেরে গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jalpaiguri)
জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি শহরের দেবীনগর এলাকায় একটি শুভজিৎ বাড়িতে ভাড়া থাকে তার পরিবার। রবিবার সকালে সাইকেল নিয়ে বাড়ির ঠিক পাশের একটি দোকানে এসেছিল শুভজিৎ। তখন ময়নাগুড়ি বেসিক স্কুল ময়দানে গাড়ি চালানো শিখছিল স্থানীয় যুবক অমিতাভ ঘোষ। ওই রাস্তা দিয়ে শুভজিৎ যাওয়ার সময় তখনই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই কিশোরকে ধাক্কা মারে। পিষে দেওয়ায় মৃত্যু হয় তার। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষ। এই দুর্ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। ছোট বালককে পিষে দেওয়ার ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির দেবীনগর পাড়া এলাকা। উত্তেজিত জনতা যুবকের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। কিন্তু, এসবের মাঝে ওই যুবক ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষজন। তাই পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান।
স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?
এই বালক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান।আর ঘাতক গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ময়নাগুড়ি দমকল কেন্দ্রের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কিন্তু, পলাতক অভিযুক্ত যুবক অমিতাভ তার খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস। ওই বালককে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু, চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। অভিযুক্ত যুবকের গাফিলতির জন্যই এই কিশোরের মৃত্যু হল। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours