মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস (World Diabetes Day)। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হলেও ডায়েবেটিস থেকে আজও নিষ্কৃতি পায়নি মানবজাতি। একবার ডায়েবেটিস হলে তা থেকে মুক্তি নেই আজও। কিন্তু জীবনযাত্রায় বদল এনে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এই রোগ। ডায়াবেটিস মূলত ২ প্রকার। টাইপ ১ এবং টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিস মূলত জিনগত কারণে হয়। যাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ডায়াবেটিস থাকে, তাঁদের এই ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সম্ভাবনা সব চাইতে বেশি। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মূল কারণ অনিয়মিত জীবন যাত্রা। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, কোনও রকম ডায়েট না মেনে চলা, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা হল ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ। আর তাই এই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময় মেনে খাবার খাওয়া খুব জরুরি। যাদের ডায়াবেটিস বর্ডার লাইনে, তাদের বলা হয় প্রি-ডায়াবেটিক। প্রি-ডায়াবেটিকরা মূলত খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করলে ডায়াবেটিক হওয়া আটকাতে পারেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে হিন্দু লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করল মুসলিম যুবক
প্রি-ডায়াবেটিকদের কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ?
ফলের রস: ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যে ফল ভালো হলেও ফলের রস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ ফলের রসে ফাইবারের পরিমাণ কমে ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই ফ্রুকটোজ সুগার লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে।
প্যাকেজড খাবার: কোনও প্যাকেজড বা প্রসেসড খাবার মূলত স্ন্যাকস বা মাংস জাতীয় খাবার ডায়াবেটিসের রোগীদের একেবারেই খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এইসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক থাকে, যেগুলি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মোটেও ভাল নয়।
শর্করা প্রধান খাবার: হোয়াইট ব্রেড, হোয়াইট রাইস, পাস্তা, বেকারির যেকোনও খাবার ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যে একেবারেই ভালো নয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এইসব খাবারগুলো খেলে।
জাঙ্ক ফুড: যেকোনও ডিপ ফ্রায়েড খাবার এড়িয়ে চলুন।
ফ্রোজেন ডেজার্ট: ইয়োগার্ট বিশেষ করে ফ্লেভারড ইয়োগার্ট একেবারেই খাবেন না। কারণ এর মধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি থাকে।
চর্বি জাতীয় খাবার: যেকোনও ফ্যাটজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ফুল ফ্যাট মিল্ক ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যে যথেষ্ট ক্ষতিকারক। কারণ এই অতিরিক্ত ফ্যাট আপনার শরীরে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
+ There are no comments
Add yours