Heart Disease: মহিলাদের বাড়ছে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি! গর্ভাবস্থায় দেখভালের অভাবই কি‌ এর কারণ? 

মহিলাদের হার্ট ফেলিওর, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Heart_Disease
Heart_Disease

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

হৃদরোগের (Heart Disease) সমস্যা‌ বাড়ছে। বিশ্বের একাধিক দেশের পাশপাশি ভারতেও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকের পাশপাশি হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমছে। ফলে, হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকিও‌ বাড়ছে।‌ কলকাতায় সম্প্রতি কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হল। সেখানেই একাধিক আলোচনায় উঠে আসছে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও মহিলাদের হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়ছে। সতর্ক হতে না পারলে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

কী বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা? (Heart Disease) 

সম্প্রতি কলকাতায় কার্ডিওলজিক্যাল সোস্যাইটি অব ইন্ডিয়ার এক সম্মেলনে ‌হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হার্ট ফেলিওর অর্থাৎ হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা কমতে থাকছে।‌ ধীরে ধীরে হৃদপিণ্ড কাজ করতে পারছে না।‌ হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদ ছাড়াও হার্ট ফেলিওরের জেরে যে কোনও রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের ঝুঁকি বাড়বে। ফলে, রোগ মোকাবিলা কঠিন হয়ে উঠবে। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মহিলাদের হার্ট ফেলিওরের (Heart Disease) ঝুঁকি বাড়ছে। গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো যত্নের অভাবেই এই ঝুঁকি বাড়ছে।

কেন গর্ভাবস্থার জন্য ঝুঁকি বাড়ছে? 

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলাদের শরীরের গঠন গর্ভাবস্থায় অনেকটাই বদলে যায়।‌ শুধু বাইরের গঠন নয়। গর্ভাবস্থায় শরীরে নানান উপাদানের পরিবর্তন হয়। যার প্রভাব পরবর্তী পর্বেও থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করতে না পারলে পরবর্তীতে বড় বিপদ ঘটতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়। বিশেষত, প্লাজমা প্রোটিনকে ইস্ট্রোজেন হরমোন অনেকটাই প্রভাবিত করে। তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় শরীরে জলের পরিমাণের অনেকটাই বদল হয়।‌ রক্তচাপের পরিবর্তন ঘটে। হৃদপিণ্ড (Heart Disease) থেকে রক্ত শরীরে পৌঁছনোর ক্ষেত্রেও গতির পরিবর্তন হয়। তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ে। যা শরীরে অনেকটাই পরিবর্তন আনে।‌ বিশেষত লিভারের কার্যক্ষমতায় পরিবর্তন আনে।‌ পাশপাশি, মল-মূত্রত্যাগের নালীতেও পরিবর্তন হয়। আর এই সব হৃদযন্ত্রে প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের এই একাধিক পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে হৃদপিণ্ডে। এর জেরেই হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতায় পরিবর্তন ঘটে। অনেকক্ষেত্রেই তৈরি হয় হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি।

কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? 

চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের হৃদরোগ (Heart Disease) বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সাধারণ মানুষের পাশপাশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই গর্ভবতীর শুধুমাত্র রক্তচাপ পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বোঝার জন্য শুধুমাত্র রক্তচাপের পরীক্ষা যথেষ্ট নয়। তাই প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। হৃদযন্ত্র কাজ করতে সক্ষম কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত না হলে পরবর্তীতেও বড় বিপদ ঘটতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles