মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারের ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। মঙ্গলবার তিনি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির বার্ণিশ এলাকায় যান। রবিবারের ঝড়ে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বার্ণিশ ও পুটিমারি এলাকা। প্রায় ১৫০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গৃহহীন অবস্থায় রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এদিন দূর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন অনন্ত মহারাজ। তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বললেন বিজেপি সাংসদ (Jalpaiguri)
বিজেপি সাংসদকে কাছে পেয়ে দূর্গতরা তাদের অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। সঙ্গে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিন তাঁরা জানান শুধু ত্রিপল এবং সামান্য কিছু শুকনো খাবার ছাড়া আর কিছু দেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শুকনো খাবারের মধ্যে চিড়া দেওয়া হয়, কিন্তু সেই চিড়া মুখে তোলার যোগ্য নয়। ফলে, কিছুটা না খেয়েই তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে। ঝড়ে বাড়ি ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ায় তাঁরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। ঘরের আসবাবপত্র সব নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরে থাকা টাকা পয়সা সব ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। একদিকে আর্থিক সমস্যা, অন্যদিকে মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে সমস্যা। সব মিলিয়ে চুড়ান্ত নাজেহাল অবস্থা তাঁদের। এই সমস্ত বিষয়গুলি তুলে ধরেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: "তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে", বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার
মানুষ কি ত্রিপল খাবে? ক্ষোভ জানালেন বিজেপি সাংসদ
ক্ষতিগ্রস্তদের কথা মন দিয়ে শোনেন অনন্ত মহারাজ। তিনি তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তৃণমূল সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত খারাপ। গোটা বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো। শুধু ত্রিপল দিয়েই দায় সারছে রাজ্য প্রশাসন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে মানুষ কি ত্রিপল খাবেন? এই অবস্থায় প্রথম কাজ দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা। কিন্তু, প্রশাসনের তরফে সেইভাবে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এদিন তিনি প্রথমে বার্ণিশ কালীবাড়ি এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন এবং গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন বিজেপি সাংসদ। পরে, পুটিমারি হাই স্কুলে ত্রাণ শিবিরে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি পুটিমারির বিধ্বস্ত এলাকাও ঘুরে দেখেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি নির্বাচন বিধি মেনে যেভাবে সাহায্য করা সম্ভব, সেই ভাবেই তিনি দূর্গতদের সাহায্য করবেন বলে জানান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours