Narendra Modi: কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ভারত মিশরের মধ্যে

প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি হয়ে মিশরীয় প্রেসিডেন্ট ভারতবর্ষে এসেছেন
ুকুক
ুকুক

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি হয়ে মিশরীয় প্রেসিডেন্ট ভারতবর্ষে এসেছেন। আজকে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মিশরীয় প্রেসিডেন্ট। মিশরীয় সেনাবাহিনীর ছোট্ট একটি দলও এদিন কুচকাওয়াজে অংশ নেবে বলে জানা গেছে। গতকালই মিশরীয় প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্রপতি ভবনে স্বাগত জানিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সমেত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্যান্য মন্ত্রীর।

কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের মধ্যে

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মিশরীয় প্রেসিডেন্টের মধ্যে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিশর হল আফ্রিকা মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষেত্র। শুধুমাত্র তাই নয় বিভিন্ন আরব দেশগুলির সঙ্গে মিশরের সম্পর্কও বেশ ভাল। দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কূটনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

২০১৫ সালে ইন্ডিয়া-আফ্রিকা সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল নয়া দিল্লিতে। তখন বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের রাষ্টপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। 

 ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সম্প্রতি পরিসংখ্যান বলছে ভারত এবং মিশরের মধ্যে ব্যবসা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ২০২১-২০২২ আর্থিক বছরে এই ব্যবসা দাঁড়িয়েছে ৭২০ কোটি, ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরের থেকে ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মিশরের কাছে ভারতের আর্থিক বাজার হল একটা বড় ব্যবসার ক্ষেত্র। জানা যাচ্ছে যে মিশর যে সমস্ত দেশগুলিতে পণ্য রপ্তানি করে সেই দেশগুলির মধ্যে ভারতের স্থান তৃতীয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত মজবুত হবে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতাও বাড়বে দ্বিপাক্ষিক এই আলোচনার ভিত্তিতে।
মিশরের অন্যতম সুবিধা হল এর ভৌগোলিক অবস্থান। ঠিক এই দেশের পাশেই সুয়েজ ক্যানাল। পরিসংখ্যান বলছে যে পৃথিবীর মোট যা বাণিজ্যিক পণ্য তার ১২ শতাংশই সুয়েজ ক্যানেলের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। সরলভাবে বললে ৭০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা সুয়েজ ক্যানেল এর উপর দিয়ে হয় প্রতি বছর। যার মধ্যে ১০ শতাংশ হল তেল এবং ৮% হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। ভারতের বিভিন্ন রকমের রপ্তানি সুয়েজ ক্যানেলের উপর দিয়ে হয়। যেগুলি ইউরোপ মহাদেশের বাজারে বিক্রি করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিশরীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

প্রতিরক্ষা

আরব দেশগুলির মধ্যে মিশরীয় সেনাবাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী বলেই মনে করে বিশেষজ্ঞরা। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত মিশরের সম্পর্ক ১৯৬০ এর দশক থেকেই চলছে বলে জানা যাচ্ছে , সেসময় HA-300 aircraft তৈরি করতে দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টা ছিল।
ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে জানা যাচ্ছে যে মিশরে এই মুহূর্তে কর্মসূত্রে থাকেন ৩২০০ ভারতীয়। প্রযুক্তিও দুই দেশের আলোচনার অন্যতম বিষয়। তার মধ্যে বায়োটেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি রয়েছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles