Calcutta HC on Mamata: “বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে…”, কী প্রেক্ষিতে বললেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী?

SSC Scam: “আমি মামলার মেরিট বিচার করি। সামনে কে রয়েছে, তা দেখি না। তাই রাতে নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমাতে পারি...”
calcutta_highcourt
calcutta_highcourt

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে কারও মন্তব্যে ভেঙে পড়বে...।” মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা সমালোচনার প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

রবিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসেই এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam)  পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) শুনানি হয়। সেই শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ভুবনেশ্বর এইমস-এ (Bhubaneswar AIIMS) করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। অন্তর্বর্তী রায়ে বিবেক চৌধুরী বলেছিলেন, ভুবনেশ্বরের এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের টিম পরীক্ষা করবেন। চিকিৎসক দলে থাকবেন, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, এন্ডোক্রিনোলজির, রেসপিরেটরি মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

প্রসঙ্গত, তাঁর এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সোমবার সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদানের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের মহাসচিব তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিচারব্যবস্থা বিজেপি প্রভাবিত বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “পার্থকে কেন ভুবনেশ্বর এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হল? আমার লজ্জা লাগছে, বাংলায় এত ভালো ভালো হাসপাতাল থাকতেও পার্থকে ভুবনেশ্বর এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হল! কেন ওড়িশায় নিয়ে যাওয়া হল? কেন্দ্রের ছোঁয়া আছে বলে?”

আরও পড়ুন: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

মমতার এই মন্তব্য আদালত অবমাননার সামিল উল্লেখ করে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার আবেদন করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। আদালত এই আবেদন গ্রহণ না করলেও, বিচারপতি বিবেক চৌধুরী তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড শক্ত রয়েছে। মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে কারও মন্তব্যে ভেঙে পড়বে। ফলে কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। বিবেক চৌধুরী বলেন, “ওই মন্তব্যের কেন প্রতিবাদ করব? ওই মঞ্চে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। তিনি তো কোনও প্রতিবাদ করলেন না।”

বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, “আদালতের বাইরে করা এই মন্তব্যকে অবমাননা বলে ধরছি না। তাছাড়া ওই মন্তব্যের জেরে রায়ের কিছু এসে যাবে না। সব মামলাকারীকে চিনিও না। আমার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কেউ যদি উচ্চ আদালতে যেতে চায় যেতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আমি মামলার মেরিট বিচার করি। সামনে কে রয়েছে, তা দেখি না। তাই রাতে নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমাতে পারি।” তবে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী মনে করেন, বিচারব্যবস্থা নিয়ে যে সৌজন্যবোধ দেখা যেত, এখন তা ক্রমশ উধাও হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আগে বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে একটা সৌজন্যবোধ ছিল। বিচারব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলা হত না। এখন সেটা ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে, এখন প্রকাশ্যেই সমালোচনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles