মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি সূত্রে খবর, গোটা রাজ্য থেকে এজেন্টদের মাধ্যমে কুন্তল ঘোষ ১০০ কোটি টাকার বেশি তুলেছিলেন চাকরি দেওয়ার নামে। চাকরি ছাড়াও মানিক ভট্টাচার্যের মাধ্যমে বিএড কলেজের অনুমোদন বাবদও টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল ঘোষের মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল ইডি। সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের। শুধু মণীশ নয়, সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৎকালীন ওএসডি সুকান্ত আচার্যেরও নাম রয়েছে বলে জানা গেছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, পার্থ-ঘনিষ্ঠ দীপক সরকারের কাছে পার্থর বেহালা অফিসে দেড় কোটি টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কুন্তল। সূত্রের খবর, মণীশ জৈন, ডাব্লুবিসিএস অফিসার সুকান্ত আচার্য এবং এক সময় পার্থর পরিষদীয় দফতরের ওএসডি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটের একটি অংশে। তাঁরা নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় তদারকি করেছিলেন বলে ইডি সূত্রে খবর। যাঁরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের নির্ধারিত সময়ের আগেই হয়েছিল ইন্টারভিউ, এমনও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
১০৪ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে কী অভিযোগ করল ইডি
সম্প্রতি পিএমএলএ বিশেষ আদালতে কুন্তল ঘোষের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। ১০৪ পাতার সেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ইডি সোজাসুজি অভিযোগ করেছে, চাকরির আশ্বাস দিয়ে কীভাবে ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা হতো। তার বদলে তোলা হতো টাকাও। ইডির দাবি, সেই ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করা হতো পার্থ, মণীশ, প্রবীরদের মাধ্যমে। এই ইন্টারভিউয়ে পার্থর ভূমিকা নিয়েও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি। এর আগেই বলা হয়েছিল, নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলের নগদে হত টাকার লেনদেন। গোপাল দলপতির মাধ্যমে বেশ কয়েকবার সেই টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। যদিও গোপাল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইডি-র কাছে কুন্তলের আরও দাবি, ৩২৫ জন অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি বাবদ বেসরকারি কলেজ সংগঠনের তৎকালীন সভাপতি তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে নেওয়া তিন কোটি ২৫ লক্ষ টাকার মধ্যে কমিশন বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা নিজের কাছে রেখেছিলেন কুন্তল। বাকি তিন কোটি টাকা তাপস-ঘনিষ্ঠ গোপাল দলপতি মারফত মন্ত্রী পার্থের কাছে পৌঁছে দেন তিনি। গোপাল তাঁকে জানিয়েছিলেন সুকান্ত, ভজা ও মানিক সরকার নামে পার্থের নাকতলার অফিসের এক ব্যক্তির মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কুন্তলের চার্জশিটে কলকাতা পুরসভার এক কাউন্সিলরেরও নাম রয়েছে। সূত্রের দাবি, শহরের পাঁচতারা হোটেলে সুকান্ত আচার্য এবং ওই কাউন্সিলরের মাধ্যমে পার্থর কাছে জমা পড়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির টাকা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours