মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) শাসক শিবিরে অন্তর্কলহ লেগেই রেয়েছে। জেলায় জেলায় যা নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল। এবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও দলীয় প্রতীক না পাওয়ার অভিযোগ পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-১ ব্লকের তৃণমূল কর্মীদের। দলীয় প্রতীক না পেয়ে তাঁরা প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন। সেই সঙ্গে মেমারি-১ ব্লক সভাপতি নিত্যানন্দ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রতীক বিক্রির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিক্ষুব্ধরা। সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিতে শাসক শিবির। এমনিতেই দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে বেশ ব্যাকফুটে শাসক শিবির। তারপর দলের এই গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে।
বিদ্রোহী কর্মীদের দাবি
বিদ্রোহীদের একাংশের দাবি, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটকের সম্মতিতে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও শেষ মুহূর্তে দলীয় প্রতীক পেলেন না প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা তৃণমূল কর্মীরা। অদৃশ্য কোনও অঙ্গুলিহেলন বা উপঢৌকনের বিনিময়ে তালিকায় পরিবর্তন হয়েছে বলে অভিযোগ। দলে যে প্রার্থী তালিকা নিয়ে এমন দুর্নীতি হয়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নেন মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। তিনি জানান, প্রথমে একটি প্রার্থী তালিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে পুনরায় আরেকটি প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ ও মলয় ঘটকের নেতৃত্বে।
পুরনো কর্মীদের টিকিট দেয়নি দল
জানা গিয়েছে, মেমারি-১ ব্লকের ২১২টি আসনের মধ্যে ৫৯ জন রয়েছেন, যাঁরা দলের দীর্ঘদিনের কর্মী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সেই হিসাবে তাঁদের প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণবশত তাঁদের অনেকেই শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের প্রতীক পাননি। স্বাভাবিকভাবেই আদি ও নব্য তৃণমূলের এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) পড়ে কিনা, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours