Baruipur: বারুইপুরের চম্পাহাটিতে দু-মাসের জন্য বন্ধ বাজি তৈরি ও বিক্রি!

Baruipur: বাজির কারখানা বন্ধ করে দিল প্রশাসন! কেন এই সিদ্ধান্ত?
Baruipur
Baruipur

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বজবজের পর এবার বারুইপুরের (Baruipur) চম্পাহাটিতে দু-মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল বাজি তৈরির কাজ। মূলত রাজ্যে একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম দুটি বাজির বাজারের মধ্যে একটি বজবজ এবং অন্যটি বারুইপুরের চম্পাহাটি। এবার বারুইপুর পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে দু মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল চম্পাহাটির বাজির বাজার। এদিন এসডিপিও বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস ও বারুইপুর থানার আইসি সৌমজিৎ রায়ের নির্দেশ চম্পাহাটির বিভিন্ন বাজি বাজার এলাকায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়, আগামী দু মাস কোনওভাবেই বাজি তৈরি এবং বিক্রি করা যাবে না।

মাথায় হাত পড়েছে বাজি তৈরির কর্মচারীদের (Baruipur)

অন্যদিকে সোমবার বিকাল থেকেই বারুইপুরের (Baruipur) চম্পাহাটি সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১২ হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। তবে চম্পাহাটিতে কমবেশি দেড়শোটির উপর বাজির দোকান রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি কর্মচারী কাজ করেন। হঠাৎ করেই পুলিশ-প্রশাসনের এমন নির্দেশে মাথায় হাত পড়েছে বাজি তৈরির কর্মচারী থেকে শুরু করে বাজি কারখানার মালিকদের। অনেকেরই দাবি, এইভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে তাঁদের সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে যাবে। কারণ বেশিরভাগ মানুষই বাজি তৈরির ওপর নির্ভর করেই তাঁদের জীবন চালান।

আটক হচ্ছে রাশি রাশি বাজি

এদিকে পুলিশি অভিযানে আটক হচ্ছে প্রচুর বাজি-বারুদ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাতের অন্ধকারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি (Explosive) উদ্ধার করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কালিনগর এলাকার সাহা স্টোরের গোডাউন থেকে আনুমানিক ২৫ পেটি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়। এর আনুমানিক ওজন প্রায় আড়াই কুইন্টাল। স্টোরের মালিক অভিযুক্ত উত্তমকুমার সাহা পলাতক। নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ওই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি জলে ভিজিয়ে নিষ্ক্রিয় করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আতঙ্কের বাতাবরণ এলাকায়। অন্যদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকাতেও। সেখানেও একইভাবে বিশাল পরিমাণ বাজি (Explosive) উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নীলগঞ্জের ইছাপুর পঞ্চায়েত এলাকার কাঠুরিয়াতে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে মেলে প্রায় ২০০ কুইন্টাল বাজি। একটি বাড়িতে এই বিশাল পরিমাণ বাজি কেন মজুত করে রাখা হয়েছিল, তা অনেককেই ভাবাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এগুলি সবই বেআইনি বাজি। কারণ পুলিশি তল্লাশি খবর পেয়েই ওই কারখানার মালিক পালিয়ে যায়। পুলিশ আপাতত অন্য একজনকে গ্রেফতার করেছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles