WBSSC: ২৬ হাজার চাকরি মামলায় সিদ্ধান্ত হল না সুপ্রিম কোর্টে, পাঁচ পক্ষের বক্তব্য শুনবে শীর্ষ আদালত

Supreme Court: ২৬ হাজার চাকরি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি তিন সপ্তাহ পরে
1616066711_supreme-court-4
1616066711_supreme-court-4

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির (WBSSC) মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া ২৬ চাকরি বহাল থাকবে কি থাকবে না, তা নিয়েই মঙ্গলবার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তবে এ দিন দেশের শীর্ষ আদালতে কোনও রকম সিদ্ধান্ত হল না। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মঙ্গলবার সকালে উঠেছিল এই মামলা। প্রধান বিচারপতি এদিন জানান, তাঁর বেঞ্চ আগে চাকরি বাতিল মামলার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ পক্ষের বক্তব্য শুনবে তারপরেই পরবর্তী নির্দেশ দেবে। সুপ্রিম কোর্টের এই পাঁচ পক্ষ হল, রাজ্য সরকার, এসএসসি (WBSSC), সিবিআই, মূল মামলাকারী এবং যাঁদের চাকরি নিয়ে বিতর্ক চলছে তাঁরা। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে মঙ্গলবার থেকে তিন সপ্তাহ পরে। অর্থাৎ অগাস্টের শুরুতেই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, এ দিন সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হতে রাজ্য সরকার আবেদন জানায় যে তারা এ সংক্রান্ত একটি হলফনামা জমা দিতে চায়। এরপরে এসএসসিও সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, তারাও হলফনামা জমা দিতে ইচ্ছুক। পরবর্তীকালে দু পক্ষের বক্তব্য শুনে নোডাল কাউন্সিলার নিয়োগ করার কথা বলে দেশের শীর্ষ আদালত।

এপ্রিলে গোটা প্যানেল বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই ২০১৬ সালের এসএসসির (Supreme Court) নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বার রশিদের ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ের ফলে চাকরি যায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর। সুপ্রিম কোর্ট গত ৭ মে মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সে সময়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধেও তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল থাকল।

যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করার কথা বলেছিল এসএসসি (WBSSC)

প্রসঙ্গত, সে সময়ে এসএসসির (WBSSC) তরফে সুপ্রিম কোর্টে মৌখিকভাবে জানানো হয়, যাঁদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৯ হাজার যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এসএসসির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী কিভাবে আলাদা করছেন আপনারা? এটা করার মতো কোনও তথ্য বা নথি আপনাদের কাছে রয়েছে কি? এর উত্তরে এসএসসির আইনজীবী জানান, সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত করা ডিজিটাল ডেটা দেখা সম্ভব হলেই যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব। এখন তাই ওয়াকিবহালমহল মনে করছে, এতদিনে কি যোগ্য আর যোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব হয়েছে? কারণ তার ওপরে নির্ভর করছে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। ফলে আগামী শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয় সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles