মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ৫,০০০ থেকে ৭,০০০ পা যাঁরা হাটেন (Walking) তাঁরা দীর্ঘজীবি হন। অর্থাৎ যত বেশি হাঁটবেন তত বেশি দুনিয়াটা দেখতে পাবেন। গবেষকরা বলছেন এর মানে হল প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে হাঁটা। আমাদের রাজ্যের মানুষজন হয়তো জাপানের এই সমীক্ষার কথা জানেন না, কিন্তু নিয়ম করে রোজ সকালে বা সন্ধ্যার সময় হাঁটতে বের হন। বিকেল বা সকালের পার্কগুলি তাই ভিড়ে ঠাসা থাকে। কথায় বলে হাঁটার (Walking) সমান কোন ওষুধ নেই। আপনি বিশ্বাস করুন বা নাই করুন! যে কোনও রোগের চিকিৎসার একটি সাধারণ ওষুধ হল নিয়মিতভাবে হাঁটা। যেকোনও বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের কাছে আপনি যান তাঁরা বলবেন, রোজ নিয়ম করে হাঁটুন। হাঁটা (Walking) এমন একটা সহজ শারীরিক অনুশীলন যেটার জন্য আপনাকে কোনও রকমের খরচ করতে হয় না।
কীভাবে সমীক্ষা চালিয়েছিল ওই জাপানি সংস্থা
২০১৩ সালে গবেষকরা সমীক্ষা করেন এই বিষয়ে, জাপানের ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মোট ৪,১৬৫ জনের উপর চালানো হয় এই সমীক্ষা। তাঁদের সবাইকে চারবছর ধরে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছিল। এই সময়কালের মধ্যে ১১৩ জন মারা যান। সমীক্ষকরা বলছেন, প্রতিদিন ৫,০০০ পা এর বেশি যাঁরা হেঁটেছেন তাঁদের মৃত্যুর হার ২৩ শতাংশ কমে গেছে। আবার প্রতিদিন ৫,০০০ থেকে ৭,০০০ পা যাঁরা হাঁটেন (Walking) তাঁদের মধ্যে দীর্ঘায়ু হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। আবার দেখা গেছে, ৭,০০০ পায়ের বেশি প্রতিদিন যাঁরা হাঁটেন (Walking) তাঁদের মৃত্যুর হার সবথেকে কম। মৃত্যুর কারন অবশ্য সমীক্ষার আওতার বাইরে ছিল। গবেষকরা বলছেন, যত বেশি হাঁটবেন ততই আপনার শরীর নিরোগ থাকবে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours