মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে হাঁটার (Walking) সমান কোন ওষুধ নেই। আপনি বিশ্বাস করুন বা নাই করুন! যে কোনও রোগের চিকিৎসার একটি কমন ওষুধ হল নিয়মিতভাবে হাঁটা। যেকোনও বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের কাছে আপনি যান তাঁরা বলবেন, রোজ নিয়ম করে হাঁটুন।
হাঁটা এমন একটা সহজ শারীরিক অনুশীলন যেটার জন্য আপনাকে কোন রকমের খরচ করতে হয় না। বর্তমান সভ্যতা যত এগিয়ে যাচ্ছে আমরা তত যানবাহনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি, খুব সামান্য দূরত্ব যাতায়াত করতেও আমরা আজকে দু চাকা বা চারচাকা গাড়ি ব্যবহার করি। তাই আর সময় অপচয় না করে সকালে বা বিকালে হাঁটা শুরু করে দিন।
হাঁটা (Walking) কেন এত উপকারী এবার জানা যাক
১) বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আপনি যত হাঁটেন (Walking) তত আপনার ক্যালরি খরচ হতে থাকে যেটি শরীরে মেদ কমাতে এবং শরীরকে ফিট রাখতে খুবই উপযোগী হয়।
২) হাঁটার (Walking) গতি আপনি রাখতে পারেন প্রতি ঘন্টায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই। বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়তি ওজন কম করতে হাঁটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩) সকালে যে কোন পার্কে গেলে দেখা যাবে কতশত লোকে ভর্তি রয়েছে পার্কটি এবং এদের বেশিরভাগ জনেরই ডায়াবেটিস। ডাক্তারবাবুরা ডায়াবেটিসের জন্য অথবা হাইপারটেনশন রোগের জন্য প্রথমেই যেটিকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেন সেটি হচ্ছে নিয়মিতভাবে হাঁটাচলা। হাঁটলে (Walking) সুগার এবং প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪) প্রতিদিন হাঁটাচলা (Walking) করলে আপনার পেশিরগুলি মজবুত হবে এবং শরীরের রক্ত চলাচলটা ভালো থাকবে। হাঁটা ব্যথা উপশমকারীও বটে, যারা আর্থারাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন তাদের কাছে তো হাঁটা একটা মহৌষধ।
৫) শুধুমাত্র তাই নয় মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হাঁটা (Walking) খুবই উপযোগী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা, স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি, ডিপ্রেশন এ সমস্ত কিছু কাটাতে হাঁটার জুড়ি নেই। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে হাঁটাচলা করলে মানুষের সৃজনশীলতা বাড়ে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours