মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) বসন্ত উৎসবের (Basanta Utsav) নামে ২০১৯ সালে তাণ্ডব দেখেছিলাম। সেই তাণ্ডবই আমরা বন্ধ করেছি। বুধবার বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বসে কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty)। বসন্ত উৎসবের পরিবর্তে এবার হবে বসন্ত বন্দনা। ৩ মার্চ হবে এই ঋতু বন্দনা।
বিশ্বভারতী (Visva Bharati) আর বসন্ত উৎসব...
বিশ্বভারতী আর বসন্ত উৎসব প্রায় সমার্থক হয়ে গিয়েছিল। ফি বছর এই উৎসবে শামিল হতে ভিড় করতেন হাজার হাজার পর্যটক। করোনা অতিমারির নিষেধাজ্ঞার জেরে দু বছর বন্ধ ছিল এই উৎসব। ২০২২ সালেও উৎসব বন্ধ রাখেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেবার উৎসব বন্ধ রাখার কারণ হিসেবে ছাত্র আন্দোলনের কথা বলেছিলেন উপাচার্য। এবার তিনি বললেন বসন্ত উৎসবের নামে তাণ্ডবের কথা।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) বসন্ত উৎসবের নামে ২০১৯ সালে তাণ্ডব দেখেছিলাম। সেই তাণ্ডবই আমরা বন্ধ করেছি। তার বদলে করা হচ্ছে বসন্ত বন্দনা। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বসন্ত উৎসব বসন্ত তাণ্ডবে পরিণত হয়েছিল। তাই বন্ধ করেছি। এখন বসন্ত বন্দনা হচ্ছে। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ উৎসব চাননি, চেয়েছিলেন বন্দনা। উৎসবের নামে এই তাণ্ডব হবে, ভাবতে পারেননি রবীন্দ্রনাথ। তাই বিশ্বভারতী এই তাণ্ডব বন্ধ করতে চেয়েছে।
আরও পড়ুুন: ‘সব ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে’, উদয়নকে মনে করালেন সুকান্ত
উপাচার্যের অভিযোগ, বসন্ত উৎসবের নামে তাণ্ডবের পিছনে কিছু বুড়ো খোকার ভূমিকা থাকে। তিনি জানান, ৩ মার্চ হবে বসন্ত বন্দনা। এখানে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকবে না। উপস্থিত থাকবেন কেবল বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। উপাচার্য বলেন, বিশ্বভারতীতে অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিতের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। যাঁরা বিশ্বভারতীর অনেক ক্ষতি করছেন।
এর আগেও একবার আশ্রমিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) উপাচার্য। তখনও তিনি বলেছিলেন, শান্তিনিকেতনের রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীরা অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত। তাঁর কটাক্ষ, বিশ্বভারতীকে কলুষিত করেছেন এঁরা।
প্রসঙ্গত, অনেকের মতে, ১৯০৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীতে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে যে ঋতু উৎসবের সূচনা হয়, তারই পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত রূপ শান্তিনিকেতনের আজকের এই বসন্ত উৎসব। সরস্বতী পুজোর দিন শুরু হলেও, পরবর্তীকালে সে অনুষ্ঠান বিভিন্ন বছর ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ও তিথিতে হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours