মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রের উৎসবে কান্নার রোল। আক্ষরিক অর্থেই শোকের আবহে শনিবার শেষ হল ১০ম পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat vote)। অকালে খালি হয়ে গেল রাজ্যের ১৭টি মায়ের কোল। গুলি-বোমা-বারুদের গন্ধে দিনভর ভারী হয়ে রইল রাজ্যের আষাঢ়ের আকাশ। ভোটারের লাল টকটকে রক্তের দাগ লেগে রইল রাজ্যেরই একটি বুথে। নির্বাচন কমিশন রইল ঠুঁটো। যার জেরে কোথাও হাতজোড় করে প্রাণ বাঁচানোর আর্তি জানাতে দেখা গিয়েছে পুলিশ কর্মীকে। আবার কোথাও আক্রান্ত হল সিভিক পুলিশ। শনিবার শেষ বেলাতে অশান্তি হল আলিপুরদুয়ারেও। ভোটকেন্দ্রে পুলিশের সামনেই গুলি চালনার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও এলাকাবাসীদের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে পড়ে পিছু হঠতে দেখা যায় ঘাসফুলের বাহিনীকে। সাংগঠনিকভাবে দুর্বল তৃণমূল এই জেলায়। বেশকিছু সমীক্ষায় উঠে এসেছে জেলাপরিষদও হাতছাড়া হতে চলেছে ঘাসফুল শিবিরের। স্বচ্ছ ভোট হলে হেরে যাওয়ার আশঙ্কাতেই এদিন তৃণমূল গুলি ছুড়তে থাকে। দুষ্কৃতীদের দাবি, ছাপ্পা ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
আলিপুরদুয়ার জেলার কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?
ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার ডাবরির দমনপুর নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এদিন সন্ধ্যাবেলায় এলোপাথারি কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। ঘটিনার খবর পেয়ে তৎক্ষনাত পুলিশ পৌঁছায়। এলাকাবাসীরা তাড়া করলে দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় মারপিটে জখম হয়েছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ওই বুথে তখনকার মতো ভোট বন্ধ হয়ে যায়, পরে ফের ভোট চালু করে প্রশাসন। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ ভোটাররা।
কী বলছেন এলাকাবাসীরা?
শনিবার এক সাধারণ ভোটার পিঙ্কি দাস বর্মন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘রনি নামের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর নেতৃত্বে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। ওই সমাজবিরোধীর স্ত্রী এবারের ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছে। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই তৃণমূল এমনটা করছে।’’ পিঙ্কিদেবীর আরও সংযোজন, ‘এদিন এলাকাবাসী তাড়া করতেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours