মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়াদের শেষলগ্নে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ওই চিঠিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য লেখেন, ‘‘আমার প্রতিটা মুহূর্ত আমি সুন্দরভাবে কাটিয়েছি বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে।’’ চিঠিতে বিশ্বভারতীর অন্দরকে দুর্নীতির আখড়া বলে উল্লেখও করেছেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এভাবেই দুর্নীতি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন উপাচার্য। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মতে, ‘‘যারাই বিশ্বভারতীর দুর্নীতিকে সাফ করার কথা চিন্তাভাবনা করে, তাদের প্রত্যেককেই সহজ লক্ষ্য বানানো হয়।’’
রবীন্দ্রনাথের অনুগামীর ভান করে অনেকে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করেন
এক্ষেত্রে উপাচার্য উদাহরণ টেনেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও। যিনি ছিলেন প্রথম উপাচার্য বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati)। রবীন্দ্রনাথের পুত্রকেও বাধ্য হয়ে উপাচার্যের পদ ছাড়তে হয়েছিল বলে এমনটাই জানিয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিন উপাচার্যের আরও দাবি করেছেন, ‘‘যাঁরা নিজেদেরকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুগামী বলেন, তাঁরাই ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সদা কাজ করেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনকে এখানে একটা ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করেন তাঁরা যা কিনা ব্যক্তি স্বার্থকে চরিতার্থ করতে কাজে লাগে।’’
আজই শেষ হচ্ছে উপাচার্যের মেয়াদ
প্রসঙ্গত, ৮ নভেম্বর শেষ হচ্ছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ। তার আগে মঙ্গলবারই সামনে এল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা তাঁর পাঁচ পাতার চিঠি। এদিন যে চিঠিতে উপাচার্য লেখেন, “সবশেষে বিশ্বভারতীতে (Viswa Bharati) পরিবর্তন হচ্ছে, তাই যারা এর থেকে ফায়দা নিতেন, তারা ভীত এবং প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে যেমন দপ করে জ্বলে ওঠে, তাই তারা এবার শেষ কামড় দিচ্ছেন।” প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ২০১৮ সালের নভেম্বরে। পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এটি। বিশ্বভারতীর আচার্য খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পায় বিশ্বভারতী। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এর পুরো কৃতিত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ঠিক এই কারণে বারবার উপাচার্যকে তৃণমূলের রোষানলে পড়তে হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours