মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'ব্ল্যাক হোল' বা কৃষ্ণ গহ্বর (Black Hole)। মহাবিশ্বের এক অন্ধকারময় জগত। যার মূল কেন্দ্রবিন্দু থেকে আলো নির্গত হয় না। অন্ধকারময় এই জগৎকে কেন্দ্র করেই এখন তাবড় বিজ্ঞানীদের কৌতূহল তুঙ্গে। সেখানেই আশার আলো দেখালেন এক বাঙালি বিজ্ঞানী, বর্তমানে যিনি ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা। তন্ময় চট্টোপাধ্যায়। জন্মসূত্রে রানীগঞ্জের বাসিন্দা। তবে পরিবার থাকে আসানসোলে। তন্ময়বাবু সস্ত্রীক থাকেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। সদ্য তিনি এমন একটি তথ্যের সন্ধান পেয়েছেন, যা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে নানাবিধ জট খুলে দিতে পারে। ভারতীয় স্পেস টেলিস্কোপ অ্যাস্ট্রোস্যাটের মাধ্যমে ব্ল্যাক হোল জেটের পোলারাইজড হাই এনার্জি এক্স-রে'র পরিমাপ করেছেন তিনি। যার ফলে বিশ্বজুড়ে কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে যে গবেষণা বিগত চার দশক ধরে চলছে, সেখানে নতুন দিশা দেখিয়েছেন তন্ময়বাবু এবং তাঁর টিম।
কী পাওয়া গেল তাঁর গবেষণায়? (Black Hole)
ঠিক কী রয়েছে এই বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায়? জানা গিয়েছে, গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তা অভূতপূর্ব। বিজ্ঞানীর দাবি, প্রতিটি ব্ল্যাক হোলের একটি কাল্পনিক ব্যাসার্ধ রয়েছে। সূর্যের থেকে যা বহুগুণ ঘন। আর সেখান থেকে কোনও রশ্মি নির্গত হয় না। তাই তার সম্পর্কে জানাটাও বেশ কঠিন। ঠিক সেই জায়গায় ব্ল্যাক হোলের কাল্পনিক ব্যাসার্ধের বাইরে নানান বিক্রিয়া থেকে নির্গত রশ্মি নিয়ে অ্যাস্ট্রোস্যাটের ক্যাডমিয়াম জিংক টেলিউরাইড ইমেজারের মাধ্যমে তাঁরা হাই এনার্জি পোলারাইজ এক্স-রে'র ওয়েভ লেন্থ পরিমাপ করেছেন, যা বিশ্বে প্রথম বলে দাবি করা হয়েছে। তন্ময়বাবুর এই সাফল্য আগামী দিনে ব্ল্যাক হোল (Black Hole) নিয়ে গবেষণায় দিশা দেখাতে পারে বলে আশা রয়েছে বিজ্ঞানীদের। ব্ল্যাক হোলকে এখনও মহা জগতের বিস্ময় বলে মনে করা হয়, যে সম্পর্কে সকলে খুব কম তথ্যই জানেন। কিন্তু কৃষ্ণ গহ্বরের একাধিক জট এই গবেষণার মাধ্যমে খুলে যেতে পারে বলে আশা। উল্লেখ্য, আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি প্রকাশিত দ্য অ্যাস্ট্রফিজিক্যাল জার্নাল লেটারে এই গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাঙালি বিজ্ঞানী তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী।
কীভাবে উত্থান? (Black Hole)
উল্লেখ্য, জন্মসূত্রে রানীগঞ্জের বাসিন্দা তন্ময়বাবু শহরেরই একটি সরকার পোষিত বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। রানীগঞ্জ স্কুলপাড়ায় তিনি বড় হয়েছেন। বাবা ছিলেন আসানসোল আদালতের আইনজীবী। ২০০৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। ২০০৮ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্স অনার্স পাশ করেন। তারপর বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে হাই এনার্জি ফিজিক্স নিয়ে এমএসসি করেন। এরপর যোগ দেন ইসরোর ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে। ২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সেখানে ডক্টরেট করার সময় এবং ইসরোর ২০১৫ সালে অ্যাস্ট্রোস্যাট পাঠানোর সময় একাধিক কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি (Black Hole)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours