Jalpaiguri: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার চার পরিযায়ী শ্রমিকের, এলাকায় শোকের ছায়া

Jalpaiguri: ক্রেন ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল জলপাইগুড়ির চারজনের
Jalpaiguri_(1)
Jalpaiguri_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল বাংলার  দুই পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত দুইজন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ধূপগুড়ির বাসিন্দা। মুম্বইয়ের থানেতে তাঁরা একটি নির্মাণ সংস্থার হয়ে শ্রমিকের  কাজ করতে গিয়েছিলেন। সোমবার রাতে কাজ চলাকালীন আচমকাই একটি ক্রেন একদল শ্রমিমের ওপর ভেঙে পড়ে। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানের শাহপুরে। ক্রেনে চাপা পড়ে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে চারজন জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা রয়েছেন। ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড়আলতা ১ গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার দুজন বাসিন্দা ছিলেন। একজনের নাম গণেশ রায় (৪৩)। তাঁর বাড়ি পশ্চিম ডাউকিমারি এলাকায়। অপরজন উত্তর কাঠুলিয়া এলাকার প্রদীপ রায় (৩৪)। এছাড়া ময়নাগুড়ি ব্লকের দুই যুবকও রয়েছে। তাঁদের নাম সুব্রত সরকার (২৪) ও বলরাম সরকার (২৮)। তাঁদের বাড়ি ময়নাগুড়ি ব্লকের চারের বাড়ি সংলগ্ন স্টেশন পাড়া এলাকায়। মঙ্গলবার এই সংবাদ শোনার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শোকের ছায়া নেমে পড়ে এলাকায়।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

গণেশ রায়ের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি নির্মাণ সংস্থার হয়ে কাজ করতে ছমাস আগেই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ছেড়়ে ভিন রাজ্যের পাড়ি দিয়েছিলেন গণেশবাবু। প্রতিদিনের মতো কাজ চলছিল। সেই সময় সোমবার গভীর রাতে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাবশত আচমকাই একটি ক্রেন সেখানে কর্মরত একদল শ্রমিকের ওপর ভেঙে পড়ে। রীতিমতো ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় অনেকের শরীর। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ, দমকল বাহিনী থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে  উদ্ধারকাজ  শুরু করেন। এদিকে মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছতেই গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গণেশ রায়ের মা ও স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ঘন ঘন মূর্ছা যাচ্ছেন গণেশের মা, এবং তার স্ত্রী। শুধুমাত্র  রুজি রুটির টানে ভিন রাজ্য মহারাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলেন তারা। এই অকাল মৃত্যুতে এই পরিবারে ঘন অন্ধকার নেমে এল। 

পরিবারের লোকজনের অভিযোগ?

অন্যদিকে প্রদীপ রায়ের বাড়ির সদস্যরা  মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। মৃত দুই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, স্থানীয় এলাকায় কাজ কর্মের অভাবে তাঁরা ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন। সেখানে যেমন মজুরি অনেক বেশি তেমনি, শিফটের বাইরে একটু বেশি কাজ করলে মজুরি দ্বিগুণ পাওয়া যেত। সেই কারনেই এই সমস্ত এলাকার মানুষ পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে এই বিপত্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রদীপ রায় ভিন রাজ্যে কাজ করেন। মাঝখানে কিছুদিনের জন্য জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাড়িতে এসে ছিলেন। দুমাস আগেই তিনি ফের কাজে যোগ দিতে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। প্রদীপ রায়ের দুই ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই অবস্থা এই পরিবারের। আগামীকাল ওই নির্মাণ সংস্থার উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তাঁদের দেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles