Tropical Disease: ডেঙ্গির দোসর ম্যালেরিয়া! বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউনে ভোগান্তি অব্যাহত!

ফি-বছর অগাস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে পুরসভা আশ্বাস দেয়, বছরভর কাজ হবে, ডেঙ্গি নির্মূল হবে। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয় না।
Tropical_Disease
Tropical_Disease

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর ভোগান্তি লেগেই থাকে! এবছর তা আরও বেড়েছে। বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা এবার আরও বেশি। কারণ, দুই রোগের (Tropical Disease) দাপটে কাবু হচ্ছেন এলাকাবাসী। কিন্তু অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অধিকাংশ সময়ই দায় এড়াচ্ছে! তাই ভোগান্তি বাড়ছে।

কী সমস্যায় ভুগছেন বাসিন্দারা? 

এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই গরমেও তাঁরা ডেঙ্গি সংক্রমণে নাজেহাল। আর এবছর ডেঙ্গির দোসর হয়েছে ম্যালেরিয়া। এই দুই মশাবাহিত রোগের (Tropical Disease) দাপটে তাঁরা নাজেহাল। সূত্রের খবর, প্রতি বছর বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকায় ব্যাপকহারে ডেঙ্গি হয়। গত বছরও ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পাড়ায় পাড়ায় চলেছিল মৃত্যুমিছিল। এবছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গি সংক্রমণ হচ্ছে। তার সঙ্গে উপদ্রব বেড়েছে ম্যালেরিয়ার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকশো হয়েছে। তারমধ্যে বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার বহু বাসিন্দা রয়েছেন। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ কী? 

বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছে, প্রত্যেক বছর ডেঙ্গিতে (Tropical Disease) মৃত্যুমিছিল হলেও হুঁশ ফেরে না প্রশাসনের। তার উপর এবছর ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তারপরেও এক পরিস্থিতি। সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাটের বিস্তৃত এলাকা ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। বিশেষত রাজারহাট ও নিউটাউন এলাকায় একাধিক পার্ক, বাগান রয়েছে, সেগুলো ঠিকমতো পরিচর্যা করা হচ্ছে না। ফলে, অপরিচ্ছন্ন এলাকা মশার আঁতুরঘর হয়ে উঠছে। সল্টলেকের বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছে, ওই এলাকায় একাধিক নার্সারি রয়েছে। অর্থাৎ, যেখানে চারাগাছ বিক্রি করা হয়। ওইসব জায়গায় জল জমে। প্রচুর টব থাকায়, সেখানে সহজেই জল জমা হয় ও মশার জন্ম হয়। কিন্তু সেইসব জায়গা যে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না, সে ব্যাপারে কোনও নজরদারি নেই। ফলে, এলাকাবাসীর ভোগান্তি হয়। ফি-বছর অগাস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে পুরসভা এলাকাবাসীকে আশ্বাস দেয়, বছরভর কাজ হবে। ডেঙ্গি নির্মূল হবে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয় না। যেমন  এবছরেও পুরসভার সক্রিয়তার অভাব স্পষ্ট বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। 

সংশ্লিষ্ট পুর কর্তৃপক্ষ কী বলছে? 

বিধাননগর পুরসভার তরফে বলা হয়েছে, অন্য বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত বিধাননগর এলাকায় ডেঙ্গি (Tropical Disease) সংক্রমণ প্রায় অর্ধেক। তারা জানাচ্ছে, গত বছরও মে মাসে বিধাননগর পুর এলাকায় প্রায় ১৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু এ বছর এপ্রিলের শেষ হিসাব অনুযায়ী ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ জন। তবে, ম্যালেরিয়া যে চিন্তার কারণ, সে কথা মেনে নিয়ে বিধাননগর পুরসভার এক কর্তা জানান, মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম কাজ বিধাননগর পুরসভা করছে। রাজারহাট গোপালপুর পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তবে, সব সমস্যা যে পুরসভা মেটাতে পারবে না, সে কথাও তারা জানিয়ে দিয়েছে! 

ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার যৌথ দাপট কতখানি ভয়ানক? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

ম্যালেরিয়া (Tropical Disease) এবছর বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করবে, এ কথা আগেই জানিয়েছিল বিশেষজ্ঞ মহল। তাই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে! তবে, ম্যালেরিয়ার মোকাবিলা করতে এলাকার বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। জল জমতে না দেওয়া, চারপাশ পরিষ্কার রাখা, বিশেষত পার্ক, বাগান এলাকার আগাছা কাটা, জঞ্জাল সাফ করা নিয়মিত জরুরি। তাছাড়া, নর্দমা পরিষ্কার রাখা, ব্লিচিং পাউডার দেওয়ার মতো কাজগুলো নিয়ম করে করতে হবে। তবে, ডেঙ্গি রুখতেও প্রশাসনের এইসব ভূমিকা পালনের পরামর্শ একাধিকবার দিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু প্রত্যেক বছর সংক্রমণ বাড়লে, তবেই প্রশাসন কাজ শুরু করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই কাজগুলো বছরভর করতে হবে, তবেই সংক্রমণ কমবে। তা না হলে রাজ্যবাসীর জন্য আরও ভোগান্তি অপেক্ষা করছে বলেই তাদের আশঙ্কা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles