Balurghat: প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের তাড়া খেলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি

ভোটের মুখে তৃণমূল নেত্রীকে তাড়া করলেন গ্রামবাসীরা, কেন জানেন?
Balurghat_(7)
Balurghat_(7)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট আসলেই রাস্তা- ব্রিজের প্রতিশ্রুতি দেয় সবাই। ভোট মিটলে গ্রামমুখো হয় না কেউ। গত কয়েকটি নির্বাচনে একই ছবি। রাজনীতির কারবারিদের এই চাতুরি ধরে ফেলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোটদেওরা গ্রামে প্রচারে যান তৃণমূল নেত্রী ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহা। তাঁকে দেখেই গ্রামবাসীরা প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রীতিমতো তাড়া করেন। ক্ষোভের মুখে পড়ে কার্যত গ্রাম থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন চিন্তামণি।

গ্রামবাসীদের কী অভিযোগ? (Balurghat)

 বালুরঘাটের (Balurghat)ছোটদেওরা গ্রাম যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। গ্রামের পাশ দিয়ে বইছে কাশিয়াখাঁড়ি। গ্রামের একদিকে কাশিয়াডাঙা গ্রাম, আরেকদিকে দোগাছি ফরেস্ট। গ্রামে প্রায় ১০০ ঘরের বাস। ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪০০। বালুরঘাট শহরে যেতে গেলে খানাখন্দে ভরা মাটির আল ধরে দু'কিলোমিটার ঘুরে বড় রাস্তা ধরতে হয়। অথচ ফরেস্টের ভিতর দিয়ে দোগাছি মোড়ে উঠে পাকা রাস্তা ধরলে খুব কম সময়েই বালুরঘাট শহরে পৌঁছে যাওয়া যায়। বর্ষায় এই শাখা নদী ফুলে উঠলে এই শর্টকাট রাস্তা পার করাই গ্রামবাসীদের দায় হয়ে ওঠে। ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেমেয়েরা স্কুল যেতে ভয় পায়। এমনকী শিক্ষকরাও এই কাদামাখা রাস্তা ঠেলে প্রতিদিন স্কুলে আসতে পারেন না। গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন কাশিয়াখাঁড়ির উপর সেতু নির্মাণ ও রাস্তার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এতদিন রাজনৈতিক দলগুলি শুধু তাঁদের দাবি পূরণেরই আশ্বাস দিয়েছে। কেউ কাজ করেনি। এতেই ক্ষুদ্ধ ছোটদেওড়া গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দা সবিতা সরকার বলেন, 'আমাদের গ্রামে যাওয়া আসার রাস্তা নেই। গ্রামের কোনও উন্নয়ন নেই। আমাদের গ্রামের নাম শুনলে কেউ ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেন না। কারণ, রাস্তা নেই। আমরা ভোট বয়কটের ডাক দিলে সব রাজনৈতিক দল গ্রামে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের ভোট নিয়ে যায়। আমরা বারবার ঠকি। ভোটের পর কোনও দলের লোক আর গ্রামে আসে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যরা পর্যন্ত গ্রামে পা রাখে না। এক স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে নিয়ে আজ গ্রামে ভোট প্রচারে এসেছিলেন সভাধিপতি। আমরা তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছি।'

আরও পড়ুন: "চায়ে পে চর্চা" কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষকে বাধা, বিজেপি কর্মীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

এনিয়ে চিন্তামণি বিহাকে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করা হলেও উত্তর মেলেনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মলয় মণ্ডলের বক্তব্য, "ওই গ্রামের মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। ওরা কোনও রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করছে না।"এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি সরকার বলেন, মানুষ বুঝে গিয়েছে তৃণমূলের মিথ্যা কথা, অন্যায়, অত্যাচার। তৃণমূল যে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেই তা ছোট দেওড়ার মানুষ বুঝে গিয়েছে। তাই তৃণমূলের প্রচারে গিয়ে জেলাপরিষদের সভাধিপতি কে তারা খেতে হয়েছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles