মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তৃণমূল (TMC) প্রভাবিত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে এক বিচারকের এজলাস বয়কটের অভিযোগ। যা নিয়ে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা! এ যেন হাইকোর্টের ছবি ফিরল দুর্গাপুরের মহকুমা আদালতে। সেখানেও দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে একের পর এক রায়দান চলছিল অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তৃণমূল প্রভাবিত আইনজীবীরা বয়কট করে্ন এজলাস। শুরু হয় অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের মুহুরি তথা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী রতন মণ্ডল গ্রেফতার হন। বিরোধীদের মারধর করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁকে ছাড়াতেই ৫ দিন ধরে বিচারক অসীমানন্দ মণ্ডলের এজলাস বয়কটের অভিযোগ বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে। যদিও মুখে কোনও কিছুই স্বীকার করছেন না তৃণমূলের আইনজীবীরা।
আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি ওঁদের অনুপ্রেরণা”, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠককে নিশানা মোদির
ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ
গত ১১ জুলাই ভোট গণনার দিন বুদবুদে বিরোধী কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় বুদবুদ থানায়। পুলিশ সেদিনই তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েতে জয়ী প্রার্থীর স্বামী রতন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। ঘটনাক্রমে রতন হলেন দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের মুহুরি। রতনের সঙ্গে গ্রেফতার করা আরও ১১ জনকে। ১২ জুলাই দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তাদের পেশ করা হলে বিচারক ১১ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। তারই প্রতিবাদে দুর্গাপুর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশন এসিজিএম-এর এজলাসে উকিলরা কাজ বন্ধ রেখে দেন। যদিও মুখে স্বীকার করেননি তৃণমূল (TMC) প্রভাবিত আইনজীবীরা।
চারজন বিচারকের সঙ্গে বৈঠক আইনজীবীদের
আইনজীবীরা বারবার এটাকে আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে যেতে চান। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর মহকুমার আদালতে তৃণমূল প্রভাবিত (TMC) উকিলদের সঙ্গে চারজন বিচারকের একটি বৈঠক হয়। আদালতের উকিলরা এব্যাপারেও সংবাদমাধ্যের কাছে মুখ খুলতে চাননি। তাঁরা বলতে থাকেন, বুধবার বিকেলে মিটিং-এর কী সিদ্ধান্ত হল, আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours