মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু' দিন আগেই বীরভূমের খয়রাশোলে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতর জখম হলেন এক তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সদাইপুর থানার হাজরাপুর গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?
বীরভূম জেলার সদাইপুর থানার পাথরচাপুরির কাছে হাজরাপুর গ্রামে বোমা তৈরির মশলা মজুত করা হয়েছিল। এমনকী বোমা বাঁধার কাজও চলছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোলাম রসুল। তার মুখ থেকে বুক ও হাত, পা ঝলসে যায়। বুধবার তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে হাজির হন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিস্ফোরণের (Bomb Blast) পর থেকে গ্রামেও উত্তেজনা রয়েছে। যদিও বোমা নয়, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি শাসক দলের। যা নিয়ে এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য স্বপন মণ্ডল বলেন, সব মিথ্যা অভিযোগ। চা করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। কোনও বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) নয়।
কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?
এই ঘটনায় বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, তৃণমূলের লোকজন বোমা মজুত করছিল। ওরা তৃণমূলের দুষ্কৃতী। সেই সময় বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম হয় ওদেরই লোক। বীরভূম জেলাকে বারুদের স্তূপে পরিণত করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তো দেখলেন, কিভাবে ভোট করল ওরা। কোনও গণতন্ত্র নেই, দুষ্কৃতীদের রাজত্ব চলছে। পুলিশ ও প্রশাসন সবাই সব জেনেও নিশ্চুপ।
সিউড়িতে উদ্ধার বোমা
অন্যদিকে, সিউড়ি থানার ধল্লা গ্রামে তিনটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। প্রায় ৬০টি তাজা বোমা ছিল। পুলিশ বোমাগুলি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখে। কে বা কারা বোমাগুলি মজুত করেছিল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours