Hiran Chaterjee: “ঘাটালে বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দিল না তৃণমূল”, তোপ হিরণের

BJP: তৃণমূল-কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তুলোধনা করলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ
Hiran_Chaterjee
Hiran_Chaterjee

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটালে নিজের গড় বাঁচাতে রাত জাগলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। শনিবার ভোর থেকে ফের এলাকায় এলাকায় চষে বেড়়ালেন তিনি। পুলিশি সন্ত্রাসের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

কেশপুরে অর্ধেক বুথে এজেন্ট বসতে দেয়নি (Hiran Chaterjee)

এদিন সকাল সকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরণ (Hiran Chaterjee) বলেন, 'সারারাত ধরে আনন্দপুর, কেশপুরে ঘুরেছি আমি। কোথাও আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখতে পাইনি। জওয়ানরা শুধুমাত্র স্কুলের ভিতরে বসে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। এবং এরপর রাতে তাঁরা ঘুমিয়েছেন। আর কেশপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় এবং আনন্দপুর থানার ওসি সানি, এরা দু'জনে মিলে তৃণমূলকে জেতানোর জন্যে দায়িত্ব নিয়ে সারারাত আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। গতকাল কেশপুর এবং আনন্দপুরে বোমের বৃষ্টি হচ্ছিল। আমাদের দলের পোলিং এজেন্টের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চমকেছে, ধমকেছে। আজ সকাল থেকে আর্ধেক জায়গায় আমাদের পোলিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। তাঁদেরকে তৃণমূলের অফিসে বসিয়ে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বঙ্গে একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দক্ষিণ পূর্ব রেলের

হিরণের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ!

এদিন সকালে কেশপুর সহ একাধিক এলাকা চষে বেড়ানোর সময় বিজেপি প্রার্থীর (Hiran Chaterjee) গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। লাঠি হাতে তৃণমূলের লোকজন বিক্ষোভ দেখান। যদিও তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেন। বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর আরও অভিযোগ,কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলছে না। এটা ঠিক কী ধরনের গণতন্ত্র আমি জানি না। পঞ্চায়েত ভোটেও এমনটা হয়নি। নির্বাচন কমিশন কী করতে চাইছে, কেন করতে চাইছে, সেটা আমরা কেউ বুঝে উঠতে পারছি না। সারা রাত আমরা কর্মীদের মনে সাহস জুগিয়েছি। এছাড়া আমাদের কাছে কিছু করার নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে আস্থা রাখা তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ডিআইজি শুক্রবার রাতে আমার সঙ্গে অসভ্য ভাষায় কথা বলেছেন। অত্যন্ত নোংরা ভাষায় তিনি কথা বলেন আমার সঙ্গে। তিনি আমাকে বলেন, তাঁর কোনও দায়িত্ব নেই এলাকা সামলানোর। কেন্দ্রীয় বাহিনী তো আর আমার না। আমি কোনও দলভিত্তিক কথা বলব না। যেটা সত্য, আমি সেটাই বলছি এখানে। আমাদের দল গোটা পরিস্থিতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছে। কেশপুর, সবং, পিংলায় কিউআরটি টিম খায় না মাথায় দেয়, সেটাই বুঝলাম না আমরা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles