মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের কোনও নির্বাচন নয়। পঞ্চায়েত ভোটে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করার জন্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে নব জোয়ার কর্মসূচিতে চলছে ভোটগ্রহণ। স্বাভাবিকভাবে সেখানে বিরোধী দলের কারও থাকার কথা নয়। সকলেই তৃণমূল কর্মী। কিন্তু, ভোট দিতে এসে না দিয়ে চলে গেলেন ভোটাররা। ফলে, ভোট প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যায়। বুধবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ঠিক কী ঘটেছে?
নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে চারদিনের জেলা সফরে এসেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বুধবার রাতে তিনি চণ্ডীপুরে পৌঁছান। তিনি চলে যাওয়ার পর পরই ক্যাম্পে নিয়ম মেনে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে ভোটেগ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু, ভোটাভুটি শুরু হওয়ার পর পরই চণ্ডীপুর বিধানসভার ১০ অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীদের বড় অংশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ভোট বয়কট করা তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, বুথ স্তর থেকে যে নাম ঠিক করা হয়েছিল, সেই নামের কোনও প্রার্থী তালিকায় নেই। একেবারে নতুন মুখ। প্রার্থী পরিবর্তন কারা করল? এভাবে প্রার্থী চাপিয়ে দেওয়ার ঘটনা আমরা মেনে নেব না। তাই, ভোট প্রক্রিয়া শুরু হলেও আমরা ভোট দিইনি। প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসা চলে। আর ভোট না দেওয়ার কারণে চণ্ডীপুর বিধানসভার জলপাই-১, চৌখালি-২, বৃন্দাবনপুর-১, বৃন্দাবনপুর-২, ঈশ্বরপুর, ওসমানপুর, ব্রজলালচক, কুলবারি, দিবাকরপুর, নন্দপুর, বরাঘুনি সহ ১০ টি অঞ্চলের ভোট বন্ধ রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনিতেই এই চণ্ডীপুরে তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর অনুগামীর সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্যের অনুগামীর দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এই কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। যদিও এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কেউ মুখ খুলতে চাননি।
কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নব জোয়ার কর্মসূচির শুরু থেকে বিশৃঙ্খলা। দলীয় কোন্দলের জেরে ভোট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনে এই কোন্দলের জেরে দলটাই শেষ হয়ে যাবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours