TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে, মার খেয়ে হাসপাতালে অঞ্চল সভাপতি

পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, শাসক দলের কঙ্কালসার চেহারাটা যেন ততই প্রকাশ হয়ে পড়ছে
TMC_(9)
TMC_(9)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, শাসক দলের (TMC) কঙ্কালসার চেহারাটা যেন ততই প্রকাশ্যে চলে আসছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যাচ্ছে যে, দলেরই এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর নেতার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছে না। এমনই ঘটনা ঘটল এবার উত্তর দিনাজপুরে। সেখানে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চলে এল প্রকাশ্যে। বুথ কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দলেরই অঞ্চল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূপালপুর এলাকায়। আহত অঞ্চল সভাপতি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে তৃণমূলেরই গোষ্ঠী কোন্দল বলে মেনে নিলেও এতে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেছেন উপপ্রধান।

কীভাবে ঘটল এই ঘটনা (TMC)?

উল্লেখ্য, সোমবার রাতে বীরঘই অঞ্চলের ভূপালপুর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নতুন বুথ কমিটি ঘোষণা করতে গিয়েছিলেন অঞ্চল সভাপতি কৈলাশ চন্দ্র বর্মন সহ কয়েকজন নেতৃত্ব। ফেরার পথে ভূপালপুর এলাকাতে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য গোষ্ঠী লাঠিসোটা নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সোমবার মধ্য রাতে আহত অঞ্চল সভাপতিকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলেই জানিয়েছেন আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। ঘটনায় আহত কৈলাশ চন্দ্র বর্মন অবশ্য ক্যামেরার সামনে উপ প্রধানের নাম না তুললেও উপ প্রধানের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই তাঁকে মারধরের অভিযোগ তোলেন।

কী বললেন অভিযুক্ত উপপ্রধান (TMC)?

অন্যদিকে, বীরঘই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল আলম এই ঘটনাকে তৃণমূলেরই (TMC) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না, আর বিষয়টি তিনিও উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। একটা বিষয় পরিষ্কার, ঘটনা ঘটলেও এর দায় কোনও পক্ষই নিতে রাজি নয়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles