মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে জেতার কারণে বিজেপি প্রার্থীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একাধিক বিজেপি কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গবাচ্চর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনা চলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা না ছাড়ায় সেই কারণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ?
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন থেকেই এলাকায় অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভোটের দিনও ওই এলাকার বিজেপি প্রার্থী গৌরাঙ্গ বিশ্বাসকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ভোটের ফলাফলে গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই এলাকায় গৌরাঙ্গ বিশ্বাস জিতে যান। অন্যদিকে ওই এলাকারই বিজেপির প়ঞ্চায়েত সমিতি প্রার্থী কামনা বিশ্বাস জয় লাভ করেন। ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুধবার সকালে হঠাৎ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এলাকায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। সেখানেই বিজেপি প্রার্থী এবং বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে। এরপরেই আচমকা গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের মাথায় বাঁশ দিয়ে বাড়ি মারে তৃণমূল কর্মীরা। পাশাপাশি ওই এলাকার বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর স্বামী সমীর বিশ্বাসকেও মারধর করা হয়। বিজেপির অন্যান্য কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বর্তমানে চিকিৎসাধীন বিজেপি প্রার্থী সহ আরও বেশ কয়েকজন।
কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?
এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের মেয়ে পিপাসা বিশ্বাস বলেন, ভোটের পর থেকে তৃণমূল এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। ভোটের দিনও ছাপ্পা ভোট মেরেছে এবং বোমাবাজি করেছে এলাকায়। এদিন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী পুতুল বিশ্বাস হেরে যাওয়ার কারণে আচমকা আমার বাবার উপর ওরা হামলা চালায়। মাথায় আঘাত করে। এর পাশাপাশি অন্য দলীয় নেতা কর্মীদের ওরা মারধর করে।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী পুতুল বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের পরিবার তাদের উপর হামলা করেছে। তৃণমূল কোনও হামলা চালায়নি। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours