মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলার (Cattle smuggling case) তদন্ত দ্রুত গুটিয়ে আনাই লক্ষ্য সিবিআইয়ের (CBI)। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সংস্থা অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার থেকে ব্যাংকের নথি চেয়ে নোটিস পাঠাল। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। গোয়েন্দাদের ধারণা, গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন হয়েছে মেয়ে সুকন্যার অ্যাকাউন্ট থেকে। শুধু তাই নয়, সিবিআই আধিকারিকরা আরও মনে করছেন, বিদেশি মুদ্রাও কেষ্ট কন্যার অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে। বোলপুরে (Bolpur) কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা অস্থায়ী ক্যাম্পে গত কয়েকদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মীদের জেরা করেন। সেখান থেকেই গরুপাচার কাণ্ডে বিদেশি মুদ্রা ব্যবহারের তথ্য সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর
দিন সাতেক আগে বোলপুরের বাড়িতে গিয়ে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি নজরে এসেছিল সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে সেই অর্থে বড় কোনও অর্থের খোঁজ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সিবিআই কর্তারা মনে করছেন, যাবতীয় লেনদেন হয়েছে কেষ্ট কন্যা সুকন্যার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে সিবিআই আরও জানতে পেরেছে, বেশ কয়েকটি সম্পত্তির মালিক অনুব্রত। কিন্তু এই সম্পত্তি কেনার অর্থ তিনি কোথা থেকে এবং কীভাবে পেলেন? আয়কর রিটার্ন জমা করার ক্ষেত্রে তথ্য গোপান করা হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: কাবুলের তালিবানের চালানেই সন্দেশখালির সরিফুলের নাম, মাদক তদন্তে নতুন মোড়
কেষ্ট কন্যা সুকন্যার নামেও রয়েছে একাধিক রাইস মিল সহ বিভিন্ন সম্পত্তি। প্রশ্ন উঠছে, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা হয়ে তিনি কীভাবে এত বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন? অর্থের উৎস কোথায়? এই রহস্য উন্মোচন করাই লক্ষ্য এখন সিবিআই কর্তাদের। কারণ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নিশ্চিত, অনুব্রত মণ্ডল এবং সুকন্যা মণ্ডল গরুপাচার কাণ্ডে সরাসরি যুক্ত। ইতিমধ্যেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে তৃণমূল নেতাকে। তিনি এখন জেল হেফাজতে। সুকন্যা সুকৌশলে বার বার সিবিআইকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, রেহাই পাবেন না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
+ There are no comments
Add yours