মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এদৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। শাসক দলের নেতাকে পেটাচ্ছে পুলিশ! তাও আবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে। আমডাঙার (Amdanga) ঘটনায় শনিবার রাত পর্যন্ত ক্ষোভের আগুন জ্বলেছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশের মারে হাত ভেঙেছে তৃণমূল নেতা মোস্তাক আহমেদ মন্ডলের। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।
ঘটনা কীভাবে ঘটল?
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওঁই তৃণমূল (TMC) নেতা পার্থ ভৌমিক ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে বিকেলে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় পুলিশ আচমকা ওঁই তৃণমূল কর্মীকে মারতে শুরু করেছে। মোস্তাকের অবশ্য, অভিযোগ কোনও প্ররোচনা ছাড়াই পুলিশ মারধর করতে শুরু করে। আটকাতে গেলে আমাকেও লাঠিপেটা করা হয়। মারের চোটে হাত ভেঙে গিয়েছে। সেই অবস্থাতেই তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে আসা হয়।
জাতীয় সড়ক অবরোধ
ঘটনার খবর পেয়ে তৃণমূল নেতা মোস্তাকের অনুগামীরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। গভীর রাত পর্যন্ত টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা। উত্তেজনা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ক্ষোভ থামাতে ময়দানে নামেন ব্যরাকপুরের (Barrackpore) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক।
আরও পড়ুনঃ মনোনয়নে সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ি! বিধিভঙ্গের অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে
তৃণমূলের বক্তব্য
কেন পুলিশ মারধর করল? জিজ্ঞেস করা হলে মোস্তাক বলেন, “আমার উপর পুলিশের কী কারণে রাগ আমি জানি না। যেভাবে ধরে মারল আমার কিছু বলার নেই। আমার সারা শরীরে লাঠির আঘাত করেছে। গোটা শরীরে যন্ত্রণা আছে।” অপরদিকে মোস্তাকের অনুগামীরা জানিয়েছেন, “স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে নিয়ে গোপনে মিটিং মিছিল করছেন। এই কাজের প্রতিবাদ করায় বিধায়কের নির্দেশে পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে।" যদিও রফিকুর রহমান অর্জুন সিংকে নিয়ে মিটিং করার কথা অস্বীকার করেছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours