মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি প্রবীণ রাজনীতিবিদ। প্রাক্তন অধ্যাপক। বর্তমানে তৃণমূলের (TMC) সাংসদ। তবে সম্প্রতি দলীয় নেতৃত্বকে খুশি করতে গিয়ে কুকথার ছররা ছড়াচ্ছেন তৃণমূলের সৌগত রায় (Saugata Roy)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চটি পেটা করতেন বলে প্রকাশ্য সভায় জানিয়ে দিলেন তিনি। একজন শিক্ষকের মুখের এহেন ভাষায় স্তম্ভিত রাজ্যের শিক্ষককুল।
সৌগতর (Saugata Roy) কুবাক্য
বুধবার বরাহনগরে সভা হচ্ছিল তৃণমূলের। সভার পোশাকি নাম নবজোয়ার যাত্রার প্রস্তুতি সভা। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মতো নেতারা। এমন সময় ভাষণ দিতে উঠলেন সৌগত। তিনি প্রথমেই নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেন, “শুভেন্দু বলছেন, করমণ্ডল দুর্ঘটনার পিছনে তৃণমূল! ওঁর কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? কোথায় বালেশ্বর, অন্য রাজ্যে গিয়ে তৃণমূল অন্তর্ঘাত করবে?” এর পরেই সৌগত (Saugata Roy) বলেন, “বয়স কম হলে শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম।” প্রবীণ রাজনীতিবিদের মুখে এহেন কুবাক্য শোনার পরেও মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা ছিলেন নির্বিকার।
বিজেপির প্রতিক্রিয়া
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। পদ্ম-নেতা রাহুল সিনহা বলেন, একজন অধ্যাপকের মুখের ভাষা শুনলে লজ্জা লাগে। আসলে তৃণমূলের পচা পুকুরে নামলে এসব কুকথা বলাই অভ্যাসে পরিণত হয়। শুক্রবার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয়েছে ২৮০ জনেরও বেশি যাত্রীর। জখম হয়েছেন হাজারেরও বেশি। যাঁরা মারা গিয়েছেন কিংবা জখম হয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই বাংলার। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। দুর্ঘটনার কারণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছিলেন, “বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূল। তাই সিবিআই তদন্তে ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল।” এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দুর প্রতি কুবাক্য-বাণ নিক্ষেপ করেন সৌগত।
আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামের মিছিলে ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু
এক প্রবীণ রাজনীতিবিদের (Saugata Roy) মুখের ভাষা যে এমন হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারছেন না রাজনীতির কারবারিরা। প্রত্যাশিতভাবেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে তৃণমূল। দলের সহ সভাপতি দলবদলু জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “সৌগতবাবু হয়তো উত্তেজনার বশে বলে ফেলেছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রে তৃণমূল এ ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করে না। হিংসার পথে চলে না তৃণমূল।”
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বোমা বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে সৌগত (Saugata Roy) বলেছিলেন, “এই গরমে পটাশিয়াম ক্লোরেট ও আর্সেনিক ট্রাইসালফাইড বাইরে রাখলে তা বিস্ফোরণ হতেই পারে। রাজ্যে ৩৮ হাজার গ্রাম রয়েছে। কোথায় বোমা রয়েছে, সেটা পুলিশের পক্ষ জানা সম্ভব নয়।” প্রাক্তন অধ্যাপকের এহেন মন্তব্যেও অস্বস্তিতে পড়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ
+ There are no comments
Add yours