Sukanta Majumdar: তৃণমূলের হিংসার বিরুদ্ধে সরব, বাঁকুড়ায় সুকান্তর উপস্থিতিতে কাউন্সিলর বিজেপিতে

TMC: “মার খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছে আসবেন না… ডান্ডা নিন”, দাওয়াই সুকান্তর
Sukanta_Majumdar
Sukanta_Majumdar

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছে আসবেন না। পাল্টা মার দিয়ে আসুন। বাকিটা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বুঝে নেবে। বিজেপিকে ফোঁস করতে এলে ডান্ডা নিন।” তৃণমূলের (TMC) সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এমনই নিদান দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার বাঁকুড়ায় নারী সুরক্ষা মিছিল শেষে একটি প্রতিবাদ সভায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের চরম হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হলেও এরাজ্যের কোনও নারী সুরক্ষিত নন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি।

উল্লেখ্য আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার পর থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেছে বিজেপি। প্রাক্তন সিপি বিনীত গোয়েল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়েছে দলের তরফ থেকে।

তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একহাত সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

রাজ্যের নারী সুরক্ষার দাবিতে শনিবার বাঁকুড়ার হিন্দু হাইস্কুল থেকে মাচানতলা পর্যন্ত বিজেপির একটি বিরাট পদযাত্রা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মিছিল শেষ করে, রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের (TMC) সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছেন তিনি। শাসকদল আশ্রিত সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে কড়া দাওয়াই দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সকলকে মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নিজেদের অসহায়বোধ করবেন না। প্রয়োজনে ডান্ডা ধরবেন, এরপর সুকান্ত মজুমদার যা করার বুঝে নেবে।” অপর দিকে নির্দল হয়ে পুরভোটে লড়াই করেছিলেন অনন্যা রায় চক্রবর্তী। জয়ী হয়ে মমতার বিজয় মিছিলেও যোগদান করেছিলেন তিনি। এবার তৃণমূলের ক্রমবর্ধমান হিংসা এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে, মিছিলের শেষে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁর সঙ্গে আরও যোগদান করেন বেশ কিছু লোকজন। সুকান্তর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে বলেন, “আরজি কর নিয়ে রাজ্যে যা চলছে তা অত্যন্ত অন্যায়। এভাবে আর তৃণমূল করা যায় না। এখন থেকে নারী সুরক্ষার জন্য বিজেপির হয়ে কাজ করব।”

আরও পড়ুনঃ আন্দোলনের চাপে দিশাহারা মমতা সরকার, পিছিয়ে দেওয়া হল ‘দুয়ারে উদ্যম’ শিবির

তৃণমূলের বক্তব্য

পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাঁকুড়া সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এই লোকসভায় বিজেপি হেরেছে। হারের পর আমাদেরকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) অসত্য বলছেন। কাউন্সিলরের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। লোভের জন্য এই কাজ করেছেন। জমি মাফিয়াদের সঙ্গে ওঁর প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles