মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকের দিনে থাইরয়েডের সমস্যা (Thyroid Problem) একটি সাধারণ রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। থাইরয়েডে (Thyroid) আক্রান্তদের প্রায় ৬৬ শতাংশই জানেন না যে তাঁদের এটি আছে এবং এটি খুবই চিন্তার বিষয়।
কিন্তু যদি আপনি জানেন যে আপনার থাইরয়েড আছে তাহলে আপনাকে অবশ্যই থাইরয়েডের মাত্রা ঠিক রাখতে আপনার খাদ্য তালিকাতেও কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। থাইরয়েড সম্পর্কে আপনার কিছু জেনে নেওয়া দরকার।
থাইরয়েড হল গলার সামনে অবস্থিত প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থি। এটি খাবার থেকে আয়োডিন নিয়ে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন করে। থাইরয়েড হরমোন শরীরের প্রায় সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা করে যেমন- হার্ট রেট, লিভার ফাংশন, সার্কুলেশন, মেটাবলিজম ও ইন্টার্নাল ক্লক।
থাইরয়েড এমন একটি সমস্যা যা কোনও রোগ নয় বরং পুরো জীবনের জন্য একটি ব্যাধিও। তবে হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism) এবং হাইপোথাইরয়েডিজমের (Hypothyroidism) মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। হাইপারথাইরয়েডিজম হল এমন একটি সমস্যা যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি থাইরয়েড হরমোন বেশি পরিমাণে উৎপাদন করে।
আরও পড়ুন: থাইরয়েডের সমস্যা? তাহলে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন এই খাবারগুলি
অন্যদিকে হাইপোথাইরয়েডিজমে থাইরয়েড গ্রন্থির হরমোন উৎপাদনের পরিমাণ কমে যায়। হাইপারথাইরয়েডিজম আক্রান্ত ব্যক্তির ওজন বাড়তে থাকে, যখন হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তির ওজন অনেক বেশি কমে যায়। থাইরয়েডের সমস্যার ফলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে তা হল—
- থাইরয়েড নডুলাস- থাইরয়েড গ্রন্থির অনিয়ম।
- থাইরয়েডাইটিস- থাইরয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে যায়।
- হাইপোথাইরয়েডিজম- যখন থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন তৈরি করতে পারে না।
- হাইপারথাইরয়েডিজম- যখন থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজনের বেশি হরমোন তৈরি করে।
- গলগন্ড- থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি।
- থাইরয়েড ক্যান্সার।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, অত্যাধিক মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আপনার মেটাবলিজম কে নষ্ট করে দিতে পারে, যার ফলে থাইরয়েড হতে পারে। টক্সিন যখন থাইরয়েডে জমা হতে থাকে তখন সেলুলার গঠনে পরিবর্তন দেখা যায়। এটি থাইরয়েডের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করে ফলে দেহে ইমিউনিটি সিস্টেম নষ্ট হতে থাকে।
আরও পড়ুন: হঠাতই ওজন কমছে বা বাড়ছে! হতে পারে আপনি অজানা রোগে আক্রান্ত
ফলে থাইরয়েডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকার। কারণ প্রথমদিকে অত বেশি সমস্যা না দেখা দিলেও ভবিষ্যতে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। তাই সময়মত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত দরকার।
+ There are no comments
Add yours