Howrah Mangalahat: হাওড়ার মঙ্গলাহাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত এক হাজার কাপড়ের দোকান

Howrah Mangalahat: হাওড়ার মঙ্গলাহাটে ফের অগ্নিকাণ্ড, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা
Howrah_Mangalahat
Howrah_Mangalahat

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হল হাওড়ার মঙ্গলাহাট (Howrah Mangalahat)। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে খাক হয়ে গেল প্রায় এক হাজারের বেশি কাপড়ের দোকান। একুশে জুলাইয়ের আগের দিন রাত একটা নাগাদ আগুন দেখতে পান আশপাশের লোকজন। তাঁরাই দমকলে খবর দেন। বহু বছর আগে একবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছিল দেশের মধ্যে অন্যতম এই মঙ্গলহাট। সেই থেকে মঙ্গলাহাটের একটি ভবনকে পোড়াহাট নামেই লোকে চেনেন। ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

দমকল সূ্ত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হঠাৎই আগুন লেগে যায় মঙ্গলাহাটে (Howrah Mangalahat)। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন হাটের দোকানগুলি দাউ দাউ করে জ্বলছে। অগ্নিকাণ্ডে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হাটের কাছেই হাওড়া থানা। প্রথমে থানায় খবর দেওয়া হয়। থানা থেকে খবর যায় দমকলে। একে একে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। হাটের ছোট ছোট দোকানগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জামাকাপড় মজুত ছিল। দোকানগুলি বাঁশ এবং কাঠের কাঠামো দিয়ে তৈরি হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ১৮ টি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে দমকলের ধারণা শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। যদিও স্থানীয় দোকানদারদের অভিযোগ, মঙ্গলাহাট ভবনটি পুরানো ও জরাজীর্ণ আকার নিয়েছিল। ভবনের আসল মালিক কে তা নিয়ে ছিল দ্বন্দ্ব। মালিকানা নিয়ে বিবাদ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। তাদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের নজরানা দিয়ে এতদিন বেআইনিভাবে হাট চলছিল। মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কী বললেন দমকলের আধিকারিক?

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ এবং দমকল। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের সামনেই গঙ্গা এবং দমকলের সদর দফতর থাকায় আগুন নেভানোর কাজে জলের কোনও অভাব হয়নি। দমকল বিভাগের ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার রঞ্জনকুমার ঘোষ বলেন, মঙ্গলাহাটে (Howrah Mangalahat) আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। আগুনের ভয়াবহতা দেখে হাওড়া ময়দান ছাড়াও বালি, লিলুয়া সহ বিভিন্ন দমকল কেন্দ্র থেকে গাড়ি নিয়ে এসে আগুন নেভানো হয়। প্রথমে আগুনকে চারদিক থেকে নিয়ন্ত্রণ করে নেওয়া হয়। তারপর আগুন নেভাতে আগুনের মূল কেন্দ্রস্থলে পৌঁছায় দমকল। এভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles