মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওনার সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে হাত পড়ে যাবে বলে তিনি দোষীদের আড়াল করছেন এমনই দাবি রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, ‘ওরা মোমিনপুর, ইকবালপুর এবং খিদিরপুর থেকে হিন্দুদের তাড়িয়ে দিতে চায় । এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি। যেহেতু হিন্দু ভোট বিজেপির দিকে যাচ্ছে তাই মুখ্যমন্ত্রী হুমকি দিয়ে এবং সাম্প্রদায়িক প্রচার করে সংখ্যালঘু ভোট নিচ্ছেন ।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজোর রাতে মোমিনপুর এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বোমাবাজি,ইঁটবৃষ্টির পাশাপাশি বাড়িঘর,বাইক ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ কিছুই বাদ যায়নি। এমনকি এক সম্প্রদায়ের লোকজন ইকবালপুর থানা ঘেরাও করেছিল। দুই আইপিএস-সহ ৯ পুলিশকর্মী পর্যন্ত আহত হয়েছিলেন। এরপরই মোমিনপুরে হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল লা গণেশনকে চিঠি লিখেছিলেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু
শুক্রবার সাংবাদিক মানব গুহকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদও জানান রাজ্যের বিরোধী নেতা। হিংসার মুহুর্তের ভিডিও পোস্ট করার অপরাধে সোশ্যাল মিডিয়া সাংবাদিক মানব গুহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশের দাবি,এই ধরনের ভিডিও সমাজে আরও উত্তেজনা ছড়াতে পারত । কিন্তু পুলিশের এই ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার না করে যাঁরা সমাজের সামনে সত্য তুলে ধরছেন তাঁকে আটক করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, মোমিনপুরের ঘটনার পরেই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। মোমিনপুরে তাণ্ডবের বিরুদ্ধে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে উচ্চ আদালতে (Calcutta High Court)। সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হবে। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চালাতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। কারা তাণ্ডব চালিয়েছে তা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিটের আধিকারিকদের। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে ভিডিও ফুটেজ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours