Uttarkashi Tunnel: “এখানে চাকরি নেই, দিদিকে বলব কাজ দিন” সুড়ঙ্গ থেকে ফিরে কেন বললেন মানিক?

“রাজ্যে কাজ কোথায়?” জানতে চাইলেন সুড়ঙ্গ ফেরত মানিক…
Uttarkashi_Tunnel_(2)
Uttarkashi_Tunnel_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুড়ঙ্গ থেকে ফিরে শ্রমিক মানিক বললেন, “এখানে চাকরি নেই, দিদিকে বলব কাজ দিন”। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে (Uttarkashi Tunnel) ৪১ জন শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন কোচবিহারের বাসিন্দা মানিক তালুকদার। সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হয়ে ঋষিকেশ এইমসে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। এরপর সেখান থেকে বিমানপথে বাগডোগরা বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “রাজ্যে কাজ কোথায়?” ফের একবার কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্ন করলেন তিনিও। 

রাজ্যে মমতার ১৩ বছরের শাসনে কর্মসংস্থান কোথায়? শিল্প, কল-কারখনার কোথায়? রাজ্যে সরকারি চাকরির নিয়োগ কোথায়? ঠিক এই প্রশ্নগুলি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে প্রত্যেক দিন শোনা যায়। বিরোধী দলগুলি করোনার সময় এই রাজ্য থেকে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হরিয়ানাতে সবথেকে বেশি পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ করতে যায় বলে উল্লেখ করেছিল। পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখেও বার বার শোনা গিয়েছে, বাংলায় কাজের সুযোগ নেই, তাই অন্য রাজ্যে যেতে হয়। সম্প্রতি বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় বাংলা থেকে দক্ষিণ ভারতের কাজ করতে যাওয়া অনেক পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। ফলে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা কোচবিহারের শ্রমিক মানিকের কথায় ফের একই কথা শোনা গেল, রাজ্যে কাজ কোথায়?

কী বললেন মানিক (Uttarkashi Tunnel)?

সুড়ঙ্গ থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলায় পা রেখে মানিক তালুকদার বলেন, “আমার ছেলে স্নাতক পাশ করে বসে রয়েছে। রাজ্যে কাজ কোথায়। আমাদের মতো দরিদ্র মানুষ কাজে না গেলে সংসার কীভাবে চলবে। কর্মসংস্থানের অভাবের জন্যই বাইরের রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হয়। কাজ দিলে বাংলাতেই থাকব। দিদিকে বলবো কাজ দিন। বাইরের রাজ্যে অনেক কোম্পানি রয়েছে। তাঁদের কাছে কাজ রয়েছে কিন্তু আমাদের রাজ্যে কাজ নেই।”

রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই তাই পরিযায়ী

সুড়ঙ্গ (Uttarkashi Tunnel) থেকে উদ্ধার হওয়ার পর মানিকের স্ত্রী সোমা তালুকদার বলেছিলেন, “ঝুঁকির কাজে আর ওঁকে পাঠাবো না”। কিন্তু বাড়িতে ফিরে মানিক বলেন রাজ্যে কাজ নেই, অভাবের সংসার। অন্য রাজ্যে কাজে যেতে হয়। পাশপাশি মাণিক আরও খুব স্পষ্ট করে বলেন, “উত্তরকাশীতে ৩৪ হাজার টাকা বেতন পান। কিন্তু এই রাজ্যে কাজ কে দেবে?” অপর দিকে হুগলির শ্রমিক জয়দেব প্রামাণিকের বাবা তাপস প্রামাণিক বলেছেন, “আমার চায়ের দোকান, তা দিয়ে সংসার চলে না। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ না হলে ছেলেকে আবার বাইরের রাজ্যে কাজে পাঠাবো।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles