National Health Mission: কোনও শর্তই মানছে না রাজ্য! স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি কেন্দ্রের, বন্ধ হচ্ছে টাকা?

'আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির' বদলে 'সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র' রাজ্যে! ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র
Nabanna_Abhijan
Nabanna_Abhijan

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নয়। 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা'কে এর আগেই তারা 'বাংলার আবাস যোজনা' বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার 'রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশন'-এর ক্ষেত্রে (National Health Mission) কেন্দ্রীয় শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, এই মর্মে খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে চিঠি আসতে চলেছে রাজ্য সরকারের কাছে। কেন্দ্রের অভিযোগ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনের রং এবং নাম নিয়ে। জানা গিয়েছে, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের (National Health Mission) রং হওয়ার কথা ছিল হলুদ, কিন্তু শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতে তাঁর পছন্দের রং, নীল-সাদা করা হয়েছে।

কেন্দ্রের প্রকল্প নিজের নামে চালাচ্ছে রাজ্য 

অন্যদিকে সুস্বাস্থ্য ভবনগুলির (National Health Mission) নাম বাংলাতে কেন্দ্র ঠিক করে দিয়েছিল 'আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির' এবং ইংরেজিতে তা হওয়ার কথা ছিল 'আয়ুষ্মান ভারত হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার'। তবে এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গা-জোয়ারি মনোভাব দেখিয়ে ভবনগুলির নাম 'সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র' করেছে বাংলাতে এবং ইংরেজিতে করেছে 'হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার'। অর্থাৎ প্রতিটা ক্ষেত্রে পদে পদে কেন্দ্রের দেওয়া শব্দ 'আয়ুষ্মান'কে বাদ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার কখনই নাগরিকদের কাছে এই বার্তা দিতে রাজি নয় যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি রাজ্যে চলছে! কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে যে সমঝোতাপত্র সই হয়েছিল, সেখানে ব্র্যান্ডিং গাইডলাইন সংক্রান্ত বেশ কিছু শর্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের আরও বক্তব্য, যে সমস্ত রাজ্য এই শর্ত মেনেছে, সেখানে কোথাও তাদের টাকা আটকে রাখা হয়নি (National Health Mission)। অন্যদিকে 'বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা'র মতো কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধি যোগও দেয়নি।

কী বলছেন শুভেন্দু?

প্রসঙ্গত, ব্র্যান্ডিং-এর গাইডলাইন কেন্দ্র সরকার জারি করেছিল ২০১৮ সালে। তখন বাংলা সহ সমস্ত রাজ্য তাতে সই করেছিল। গাইডলাইন রূপায়ণের (National Health Mission) তারিখ ছিল ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রের নির্দেশিকা মানেনি রাজ্য। এরপরে চলতি বছরে গাইডলাইন (National Health Mission) মানার জন্য ১১ এপ্রিল ও ৩ নভেম্বর চিঠি দেয় কেন্দ্র সরকার। সেখানেও রাজ্য সরকার কোনও উত্তর দেয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আগেই সরব হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘দেওয়া হবে না টাকা। আবার বলছি, দেওয়া হবে না। যা চুরি করেছে কোভিডে, সেই চুরির হিসেব দিক আগে।’’

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles