মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের মতো শনিবারও ফের মাধ্যমিক (Madhyamik 2024) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হল। আর পরীক্ষা চলাকালীন সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল প্রশ্নপত্রের সেই ছবি। এবারও সেই নাম জড়াল মালদা জেলার। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এত কড়াকড়ির পরও কীভাবে প্রশ্নপত্র পাচার হয়ে যাচ্ছে। আর বার বারই মালদা জেলার নাম উঠে আসা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Madhyamik 2024)
শনিবার মাধ্যমিকের (Madhyamik 2024) ইংরেজি পরীক্ষা শুরুর কিছু ক্ষণ পরেই মালদা জেলার এনায়েতপুর হাইস্কুল থেকে ওই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায় বলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর। ওই ঘটনায় ছ'জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জন ছাত্র এবং দু'জন ছাত্রী। পর্ষদ সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচতে কৌশল করে প্রশ্নপত্রে থাকা কিউআর কোড লাল কালি দিয়ে কেটে দিয়েছিল অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীরা। তবে তাতে লাভ হয়নি। কিউআর কোড স্ক্যান করে পর্ষদের কর্মীরা জানতে পারেন, কোন জায়গার কোন পরীক্ষার্থীর হাতে ওই প্রশ্নপত্র পড়ে। কারণ, ওই কোডে যে সিরিয়াল নম্বরটি রয়েছে, সেই কোড দেখেই বোঝা যায়, প্রশ্নপত্রটি কোন জেলায় গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কোন স্কুলে ওই প্রশ্নপত্র গিয়েছিল, তা-ও জানা যায় সিরিয়াল নম্বর থেকে। কিউআর কোডের ওপর থাকা লাল কালি মুছে ওই ছয় পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। তাদের সব পরীক্ষা বাতিলও করা হয়েছে। শুক্রবার মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই দেখা যায়, বাংলার একটি প্রশ্নপত্র সমাজমাধ্যমে ঘুরছে। এর পরেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে পর্ষদ। কিউআর কোড স্ক্যান করে চিহ্নিত করা হয় মালদহের দুই পরীক্ষার্থীকে। তাঁদের সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করে মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করে দিয়েছে পর্ষদ।
মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কী বললেন?
এই বিষয় নিয়ে মাধ্যমিক (Madhyamik 2024) শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, চক্রান্ত করেই এই কাজ করা হচ্ছে। বাংলার পর ইংরেজি। বিষয়টা আমরা খতিয়েও দেখছি। সব পরীক্ষার্থী মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। শুধুমাত্র মালদা জেলা থেকেই কেন এমনটা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে। কিউআর কোড মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে মানে স্পষ্ট যে, সচেতন ভাবেই করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours