Sam Bahadur: ৫টি যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাকে নেতৃত্ব! মুক্তি পেল ভিকি কৌশল অভিনীত ‘স্যাম বাহাদুর’

সেনাবাহিনীর ফিল্ড মার্শাল স্যাম বাহাদুরকে নিয়ে সিনেমা মুক্তি পেল আজ...
Untitled_design(359)
Untitled_design(359)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচটি যুদ্ধক্ষেত্রে সামনে থেকে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেশকে। সেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফিল্ড মার্শাল স্যাম বাহাদুরকে (Sam Bahadur) নিয়ে সিনেমা মুক্তি পেল আজকে। পর্দায় স্যাম বাহাদুরের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা ভিকি কৌশলকে। মেঘনা গুলজারের সঙ্গে অভিনেতার এটা দ্বিতীয় ছবি। 'স্যাম বাহাদুর' (Sam Bahadur) ছবি দেশে জাতীয়তাবাদী পরিবেশ নির্মাণ করবে এবং নতুন প্রজন্মকে সেনাবাহিনীতে প্রবেশের অনুপ্রেরণা জোগাবে এমনটাই আশা ওয়াকিবহাল মহলের। 

কে ছিলেন স্যাম বাহাদুর?

স্যাম বাহাদুরের (Sam Bahadur) পুরো নাম স্যাম হরমুসজি ফ্রামজি জামশেদজি মানেকশ। ১৯১৪ সালের ৩ এপ্রিল পঞ্জাবের অমৃতসরে একটি পারসি পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন স্যাম বাহাদুর। তিনিই ছিলেন ভারতের সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যক্তি যিনি ফিল্ড মার্শাল পদ লাভ করেছিলেন। জানা যায়, সেনাবাহিনীতে ছেলে যাক এমনটা চাননি স্যাম বাহাদুরের (Sam Bahadur) পিতা। কিন্তু এক প্রকার বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর মিলিটারি অ্যাকাডেমিক প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেন স্যাম বাহাদুর। ৪০ বছর ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। তার মধ্যে পাঁচটি প্রধান যুদ্ধ ক্ষেত্রেও অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত চলেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সেখানে ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধেও দেখা যায় স্যাম বাহাদুরকে। ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধেও ছিলেন তিনি। আবার ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধেও তাঁকে দেখা যায়। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি।

১৯৭২ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মান পান স্যাম বাহাদুর

১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ন'টি গুলিতে বিদ্ধ হন স্যাম বাহাদুর। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গেও তাঁর সখ্যতার কথা জানা যায়। ইন্দিরা গান্ধীর স্বামী ফিরোজ-ও পারসি ছিলেন। ১৯৭২ সালে স্যাম বাহাদুর পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। এর আগেই ১৯৬৮ সালে তিনি পেয়েছিলেন পদ্মভূষণ সম্মান। সেনাবাহিনীর কাজে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৭২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি তাঁকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করেন। তিনিই ছিলেন দেশের প্রথম ফিল্ড মার্শাল। ১ জানুয়ারি ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি এই পদে কর্মরত হন। দেশের আমলা হওয়ার পরীক্ষা ইউপিএসসি-তে অন্যতম বিষয়বস্তু হল স্যাম বাহাদুর। ৯৪ বছর বয়স পর্যন্ত জীবিত ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের ২৭ জুন স্যাম বাহাদুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওয়েলিংটনের একটি মিলিটারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁর (Sam Bahadur) মৃত্যুর কারণ হিসেবে নিউমোনিয়া উল্লেখ করেন।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles