মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরে ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়া খুন (BJP Murder) হন। ওই খুনের ঘটনায় একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে জামিনে মুক্ত করতে চক্রান্ত (BJP Murder) করছে পুলিশ, সোমবার এই মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, এই খুনের (BJP Murder) ঘটনায় ৯১ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করে। আইন অনুসারে ঠিক তার আগের দিনই জামিন পেয়ে যান মূল অভিযুক্ত। কেন চার্জশিট পেশ করতে একদিন সময় বেশি লাগল পুলিশের, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়েই এই মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, গত ৪ অগাস্ট জামিন পেয়ে যায় মূল অভিযুক্ত (BJP Murder)। ঠিক তার পরের দিনই আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে পুলিশের।
কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে হয়, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন বিচারপতি
ময়নায় বিজেপি নেতা খুনের (BJP Murder) ঘটনায়, সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলাটি হাইকোর্টে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন যে আমরা কোনও মামলা সিবিআই-সিআইডিকে দিতে চাই না। কিন্তু কেন আমাদের এই কাজ করতে হয় তার স্পষ্ট উদাহরণ দিচ্ছি। এরপরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘গত ৪ অগাস্টই চার্জশিট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সেই চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়নি। মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতেই পুলিশ এই কাজ করেছে (BJP Murder)। ৫ অগাস্ট চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে পুলিশ (BJP Murder)। এতে স্পষ্ট মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে পুলিশের চক্রান্ত (BJP Murder)।’’
মামলায় এসসি-এসটি আইনের ধারা যোগ হওয়ার পরেও কীভাবে জামিন, প্রশ্ন হাইকোর্টের
বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের আর প্রশ্ন, মামলাতে এসসি-এসটি আইনের ধারাগুলিকে যোগ করা হয়েছে। তারপরেও কীভাবে মূল অভিযুক্ত (BJP Murder) জামিন পেতে পারেন? প্রসঙ্গত, বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়াকে বোম মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। তারপরেও বিস্ফোরক আইনের কোনও ধারা কেন যোগ করা হয়নি তাও জানতে চান বিচারপতি। ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রয়েছে। সেদিন এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে পুলিশকে, এমন কথাই শুনিয়েছেন বিচারপতি (BJP Murder)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours