মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট পুরসভায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরদের একটি বড় অংশ আড়াআড়িভাবে দুভাগ হয়ে গিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং দলীয় নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দলের অন্দরে জলঘোলা হতে শুরু করেছে।
চেয়ারম্যানের ডাকা বৈঠক বয়কট (TMC Conflict)
এবার লোকসভা ভোটে দাঁইহাট শহরে আড়াই হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টিতে তৃণমূল পিছিয়ে। ১৩ জুন চেয়ারম্যান পুরসভায় বোর্ড বৈঠক ডাকেন। বিওসির আমন্ত্রণপত্রে সই করলেও মিটিংয়ে না যাওয়ায় কোরাম হয়নি। ২০ জুন ফের বিওসি-র সভা ডেকে কাউন্সিলরদের বাড়ি বাড়ি চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু, কেউ তাতে সই করেননি। চেয়ারম্যান নির্ধারিত সময়ে সভায় আসেন। সঙ্গে ছিলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমর সাহা ও ১৪ নম্বরের কাউন্সিলর অমরেন্দ্রনাথ দাস। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দুই কাউন্সিলর ও পুরসভার এক আধিকারিককে নিয়ে বোর্ড অব কাউন্সিলরের সভা শুরু হয়। কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর ১১ জন কাউন্সিলর এই সভা বয়কট করেন। ফের কোন্দল (TMC Conflict) প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল
পুরমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে কী রয়েছে?
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের অপসারণের দাবিতে রাজ্যের ফিরহাদ হাকিমকে কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন কাউন্সিলরদের একাংশ। সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে দলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের কাছে। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, চেয়ারম্যানের 'অপদার্থতার' জন্য শহরের নাগরিক পরিষেবা লাটে উঠেছে। মানুষের আস্থা ফিরে পেতে হলে অবিলম্বে চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, "চেয়ারম্যানের অযোগ্যতার জন্য শহরে উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। ভোটে পিছিয়ে গিয়েছি। সেই কারণে তাঁর অপসারনের দাবিতে চিঠি দিয়েছি।" ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম ঘোষ বলেন, "আমরা ১১ জন কাউন্সিলর ( Trinamool Congress) বিওসি-র মিটিং বয়কট করে আগেই দলকে বার্তা দিয়েছি। এ দিন কোরাম না করে অবৈধভাবে বৈঠক করা হয়েছে।"
দল পদে বসিয়েছে, বললে সরে যাব
অপসারণের চিঠি প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান প্রদীপ রায় বলেন, "দল আমাকে পদে বসিয়েছে। সরে যেতে বললে সরে যাব। কিন্তু তার আগে ওঁদের নানা কথাও বলে যাব।" আর বোর্ড মিটিং বয়কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "চিঠি পাঠানোর পরেও বোর্ড মিটিংয়ে না এলে আমার কিছু করার নেই। পুর আইন মেনেই বৈঠক সম্পন্ন করে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours