Miyazaki Mango: বীরভূমেই ফলেছে পৃথিবীর সব থেকে দামি আম, জেনে নিন এর ইতিবৃত্ত

আমের কেজি ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা! কী সেই আম?
Miyazaki_Mango
Miyazaki_Mango

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আম এমন একটি ফল, যা খেতে ভালোবাসে না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এই ফল যেমন সুস্বাদু, তেমন এর গুণও অনেক। গাছে আম পাকতে না পাকতেই কাঁচা আম খাওয়ার অভ্যাসও কম মানুষের নেই। এখন বাজরে আমের দাম চলছে ২০ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু যদি বলা হয়, এক প্রজাতির আমের (Miyazaki Mango) দাম প্রতি কেজি ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা! কী, অবাক হলেন তো? অবাক করার মতোই বিষয়।

কী আম (Miyazaki Mango) এটি, কোথায় পাওয়া যায়?

এমনই এক বিরল প্রজাতির আমের ফলন হয়েছে বীরভূমের একটি মসজিদে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রতি কেজি। আমের প্রজাতিটির নাম হল 'মিয়াজাকি'। এটি পৃথিবীর সব থেকে দামি আম। এই ধরনের আম জাপানে ফলন হয়। এর নামকরণ করা হয়েছে জাপানের একটি শহর মিয়াজাকির নাম অনুসারে। শুধু মাত্র স্বাদে নয়, বিশ্বের সব থেকে দামি আমের (Miyazaki Mango) তকমা পেয়েছে এটি। অর্থাৎ এটি একটি জাপানি বংশোদ্ভূত আম। এক একটি মিয়াজাকি আমের ওজন ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রামের মধ্যে হয়ে থাকে এবং এগুলি গোলাপি বা বেগুনি রঙের হয়ে থাকে, যা বাজারে ভারতীয় মুদ্রা অনুসারে ২৪০০০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রতি কেজি হিসাবে ২ লাখ টাকারও বেশি। এই আমের চাহিদা জাপান ছাড়াও আমেরিকা এবং ইউরোপে রয়েছে। ভারতেও কিছু পরিমাণ চাষ করা হয়, কিন্তু দামের জন্য বিশেষ কোনও চাহিদা নেই ভারতীয় বাজারে। তাই বিদেশেই রফতানি করা হয় এই আম।

কী কী গুণাগুণ রয়েছে এই আমের?

সাধারণ আমের থেকেও এই আমের (Miyazaki Mango) পুষ্টি গুণ প্রচুর। এতে আছে নির্দিষ্ট পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থ যেমন ফলিক অ্যাসিড, বিটা-ক্যারোটিন। তাছাড়াও আছে ভিটামিন সি, ই, এ এবং কে। জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে এতে, যা শরীরের জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এটি ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই সাহায্যকারী। যাঁরা পেটের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্যও এই আম উপকারী। মূল বিষয়, এই আম ক্যানসারের মতো মারণ রোগ প্রতিরোধ করতেও সক্ষম।

কেন এত দাম এই আমের?

মূলত এই আম (Miyazaki Mango) চাষ করতে যে পরিমাণ শ্রম ব্যয় হয়, তা অত্যধিক। খুবই যত্নে চাষ করা হয় এই আম। এর জন্য প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ সূর্যালোক, উষ্ণ আবহাওয়া এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিও দরকার এই আমের ফলনের জন্য। চাষের সময় কৃষকরা এই আমগুলিকে জালি দিয়ে ঢেকে দেন, যাতে সূর্যালোক এসে আমের প্রত্যেক অংশে পড়ে এবং গায়ে যাতে কোনও রকম আঁচড় না লাগে। ততদিন এর লালন পালন করা হয়, যতদিন না এই আমের রং গোলাপি বা বেগুনি বর্ণ ধারণ করে। এই সব কারণেই এই আমের বাজারমূল্য অত্যধিক। জাপানে উপহার হিসাবে এই আমের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই আমকে উপহার হিসাবে দেওয়ার রীতিকে সেখানে সম্মানের প্রতীক হিসাবে ধরা হয়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles