The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ মিথ্যে নয়, ২৬ ‘শিকার’কে হাজির করে ‘প্রমাণ’ দিলেন নির্মাতারা

তাঁদের সংস্থা কেরালায় ৭ হাজার মহিলাকে সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে এনেছেন...
love_jihad_f
love_jihad_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। গত ৫ মে মুক্তি পেয়েছে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই ছবি। তারপরেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে হইচই। বুধবার মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সাংবাদিক বৈঠক করেন ছবির প্রডিউসার বিপুল শাহ ও ডিরেক্টর সুদীপ্ত সেন। এদিন মুসলিম মৌলবাদের শিকার হয়েছেন এমন ২৬ জন মহিলাকে হাজির করেন তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠকটি হয় বান্দ্রার রং শারদা হলে। সেখানেই হাজির করা হয়েছিল কোচি থেকে নিয়ে আসা ওই মহিলাদের। আর্ষ বিদ্যা সমাজমের সদস্য শ্রুতি জানান, তাঁদের সংস্থা কেরালায় ৭ হাজার মহিলাকে সনাতন ধর্মে ফিরিয়ে এনেছেন। সিনেমাটিতে দাবি করা হয়েছে, ৩২ হাজার অমুসলিম মহিলাকে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে। শাহ জানান, এনিয়ে অনেকেই বলছেন, অযথা মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। তবে সাংবাদিকদের মাধ্যমে দর্শকরা জানুন, আসল সত্যটা কী।

‘দ্য কেরালা স্টোরি’র (The Kerala Story) 'চরিত্র'রা

ছবির (The Kerala Story) নির্মাতারা জানান, লভ জিহাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াটা দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তাঁরা শুধুই ছবি বানিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি। বাস্তব জীবন থেকে তাঁরা তুলে এনেছেন ২৬ জন মহিলাকে। এঁরা সবাই যে কেরালার তা নয়, গোটা ভারতের। মৌলবাদীদের শিকার হয়েছিলেন অনঘা জয়গোপাল। তিনি বলেন, দু বছর আগে আমি সন্তানসম্ভবা ছিলাম। পর্দার শালিনীর (যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অদা শর্মা) মতো আমারও একই দশা হয়েছিল। পর্দার আশিফার মতো অনেক মেয়েই হস্টেলে ছিল, তাদেরও ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। তারা প্রায়ই আমাদের কনফিউজ করত। ধর্মজ্ঞানের অভাবের কারণে আমি আমাদের দিকটা বুঝিয়ে বলতে পারতাম না।

'আমি হিন্দু বিরোধী হয়ে গিয়েছিলাম'

তিনি বলেন, এই (মুসলিম) মহিলারা প্রায়ই বলত ঈশ্বর একজনই, তিনি আল্লা। তারা আমাকে কোরানের হিন্দি অনুবাদ দিয়েছিল। এটা পড়ার পর আমি হিন্দু বিরোধী হয়ে গিয়েছিলাম। পরিবার ছেড়ে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলাম। আমার পরিবার বাড়িতে ঈশ্বরের আরাধনা করতেন। আর আমি নমাজ আদায় করতাম। আমাকে নমাজ আদায় করতে না দেওয়ায় আমি আমার এক আত্মীয়ের মেয়ের ওপর খুব রেগে গিয়েছিলাম। তিনি (The Kerala Story) বলেন, এই ছবিটা আমার জীবনের গল্পের মতো। সিনেমাটা দেখার পর আমি হাউ হাউ করে কাঁদতে চেয়েছিলাম।

মৌলবাদীদের শিকার হয়েছিলেন চিত্রাও। তিনি বলেন, কেবল মেয়েরাই নয়, ছেলেরাও ধর্মান্তরিত হয়েছে। যারা ধর্মান্তরিত হয়েছে, তারা পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলেছে। ছবির নায়িকা অদা শর্মা বলেন, আমি ভিডিওয় দেখেছি মহিলাদের ট্যাঙ্কারে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে তারা মারা যাচ্ছে। মেয়েদের কেবল সন্তান জন্ম দেওয়ার যন্ত্র হিসেবেই ব্যবহার করা হত। যে শিশুরা পরবর্তীকালে সন্ত্রাসবাদী এবং সুইসাইড বম্বার হত, কেবল তাদের বাঁচিয়ে রাখা হত।

আরও পড়ুুন: ‘পিসি দেয় ৫, তো ভাইপোর ২৫’! শুভেন্দু কেন বললেন জানেন?

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles