মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় ফের উত্তপ্ত মণিপুর। গত পরশুদিন মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাসভবনে হামলার ছক করেছিল উত্তেজিত জনতা। পুলিশ শূন্যে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এবার মৃত ২ পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মণিপুরের রাজ্যপাল (Manipur Governor)। জুলাই মাসে দুই ছাত্রছাত্রীকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় গত বুধবার থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানী ইম্ফল। উল্লেখ্য এই দুই পড়ুয়ার মৃতদেহের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ে। ছবি ভাইরাল হতেই তীব্র শোরগোল পড়ে যায় ইম্ফলে।
মৃত দুই পড়ুয়ার বাড়িতে রাজ্যপাল (Manipur Governor)
শুক্রবার মণিপুরের রাজ্যপাল (Manipur Governor) আনুসুয়া উইকে সন্তান হারা দুই পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। পশ্চিম ইম্ফলের জেলায় এই দুই মৃত পড়ুয়ার পরিবার থাকেন। রাজ্যপাল পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজভবন সূত্রে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “জুলাইতে অপহরণ হাওয়া পড়ুয়াদের ছবি সামজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার থেকেই ফের উত্তেজনা ছাড়ায়। রাজ্যপাল স্বয়ং মৃত দুই পড়ুয়ার পরিবারের বাবা-মাকে সান্ত্বনা দেন। সেই সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বাবা-মা অনেক দিন ধরে অনশন করছিলেন, তাঁদের জল দিয়ে অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান।”
রাজ্যপালের আশ্বাস
মৃত ২ পড়ুয়ার পরিবারকে রাজ্যপাল (Manipur Governor) আনুসুয়া উইকে বলেন, “এই ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” পাশাপাশি, গত মঙ্গলবারে ২ পড়ুয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে যেসকল ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে পুলিশের মারে জখম হন, তাঁদেরকেও শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন।
রাজভবন থেকে বিশেষ বিবৃতি দিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীদের অবিভাবকদের উদ্দেশ্য করে রাজ্যপাল বলেন, “অবিভাবকরা ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য পরামর্শ দিন, আইন যেন হাতে তুলে না নেন তাঁরা। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আইন হাতে তুলে নিলে ছাত্রজীবনে দীর্ঘ স্থায়ী প্রভাব পড়তে পারে।” এদিন রাজ্যপাল লাঙ্গোলের শিজা হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আহত ছাত্র-ছাত্রীদের দেখতে যান। তাঁদের বাবা-মায়ের হাতে কিছু কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে শান্তির বার্তা দেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours