Dhupguri: কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী, উপ নির্বাচনে ফের মহকুমার দাবি উঠল ধূপগুড়িতে

মহকুমার দাবিতে কেন সরব ধূপগুড়িবাসী?
Dhupguri_(1)
Dhupguri_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহকুমার দাবিতেই হোক ভোট, ধূপগুড়িবাসীর এমনটাই মত। কিন্তু, প্রতিবার ভোটের সময় মহকুমার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ হয় না, ধূপগুড়ি সেই তিমিরেই রয়ে যায়। এবারের বিধানসভা উপ নির্বাচনেও একই দাবি তুলেছেন ধূপগুড়িবাসী। বাম আমল থেকেই ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার দাবি উঠে আসছিল। তখনও তা হয়নি, এরপর তৃণমূল আমলেও ধূপগুড়ির এই দাবি ব্রাত্য হয়েই পড়ে রয়েছে।

কেন মহকুমার দাবি ধূপগুড়িবাসীর? (Dhupguri)

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছিলেন ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমায় উন্নীত করা হবে। কিন্তু আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে চর্চা। ধূপগুড়িকে মহকুমা করার জন্য ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন তৈরি হয়েছে। মূলত তারাই মহকুমার জন্য সরব হয়েছে। সভা, মিটিং, মিছিল, পোস্টারিং এমনকী মানব বন্ধনও করেছে তারা। মঞ্চের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, ধূপগুড়ি বিধানসভায় দুটি ব্লক রয়েছে। ধূপগুড়ি এবং বানারহাট। এই দুই ব্লকে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের বাস। বানারহাট ব্লকের শেষ প্রান্ত চামুর্চি, যা কিনা ইন্দো-ভূটান সীমান্ত। এই এলাকা থেকে কোনও সরকারি কাজ করতে গেলে ৮২ কিমি পথ পেরিয়ে জলপাইগুড়িতে যেতে হয়। গেলেই যে আধিকারিকদের পাওয়া যাবে তাও নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে একটি কাজের জন্য অনেকবার যেতে হয়েছে। এতদুর পথ পেরিয়ে গিয়ে কাজ করাতে গেলে সারাদিন লেগে যায়। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই দিনমজুর বা চা-বাগানের শ্রমিক, সময়ের পাশাপাশি অর্থও নষ্ট হয় এদের। এছাড়া ধূপগুড়িকে এখনও গ্রামীণ হাসপাতালের ওপর নির্ভর করতে হয়। একটু কিছু হলেই রোগীদের জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। এই বিষয়গুলি নিয়েই এই মঞ্চ তৈরি হয়েছে।

কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

এই দাবিকে পুরোপুরি সমর্থন করে বিজেপির ধূপগুড়ি (Dhupguri)  বিধানসভার কনভেনর চন্দন দত্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ধূপগুড়িকে মহকুমা করা তার কাজ চলছে। কিন্তু, আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল রাজনৈতিক মেরুকরণের চেষ্টা করছে। মিথ্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিতে চাইছে। মানুষ সব বুঝে গেছে। তাই তারা আর এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ভুলবে না।

কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

এই বিষয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, প্রয়াত বিধায়ক বিগত আড়াই বছরে বিধানসভায় একটি কথা বলেননি। আর যদি মহকুমা কেউ করেন সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করবেন। তাছাড়া হাতে তো আরও সময় আছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। বিজেপি বাংলা ভাগের চক্রান্তে আছে, তাই এই সব বলছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles