মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কনেপক্ষের দাবি, তারা মেয়েকে মেক-আপ করাবে, মানতে নারাজ বরপক্ষ। এই নিয়ে বচসা, তারপর হাতাহাতি, পরে মাথা ফাটল বরের। বিয়েবাড়িতে লেগে গেল মারামারি, যার জেরে আহত পাঁচজন। সকলেই হাসপাতালে ভর্তি।
ঘটনার বিবরণ
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার সন্তোষপুর দেওয়ানপাড়া এলাকায়। বরের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ মাস আগে বিয়ে হয়। মঙ্গলবার সন্তোষপুরে বৌভাতের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত হয় বরপক্ষ। অভিযোগ, কনেকে সাজাতে গিয়ে লিপস্টিক ও টিপ পরানো হয়। যা মেনে নিতে পারেনি বরপক্ষ। প্রতিবাদ করতে গেলে বরের দিদিকে মেরে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কনের পরিবারের বিরুদ্ধে! তারপরে শুরু হয় তুমুল বচসা। বচসা এক পর্যায়ে গিয়ে সংঘর্ষে পরিণত হয়, সেখানেই আহত হয় পাঁচজন। সকলেই জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন! আহতরা সকলেই সাগরদিঘি থানার সেখদিঘি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
কী বলছেন বর?
হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন বর মিনহারুল সেখ। তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম কনেকে যেন টিপ না পরানো হয়। কিন্তু জোর করে এই কাজ করে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বাধা দিতে গেলে আমার শ্বশুর, শালা সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার দিদির ওপর। মারা হয় আমার ভাগ্নেদেরকেও। তখন আমরা দাবি করি, চড়ের বদলা চড় লাগবে। ওরা সেটা মানতে চায়নি বলে সংঘর্ষ শুরু হয়, বাঁশ, লাঠি এইসব দিয়ে।’’
পাঁচজন বেশি কনে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য বরপক্ষ-কন্যাপক্ষের মধ্যে মারামারি বীরভূমে
উল্লেখ্য, এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। ২৫ জন কনেযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন বরপক্ষের বাড়ির লোকজন। কিন্ত, কনেপক্ষ পাঁচ জন বেশি নিয়ে গিয়েছিল। এটাই অপরাধ। আর তাই প্যান্ডেলে বসে ভুরিভোজ খাওয়ার বদলে জুটল উত্তম-মধ্যম। বরপক্ষের হামলায় কনেপক্ষের বাড়ির বেশ কয়েকজন জখম হন। সোমবার ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের দুবরাজপুরের শিমুলডিহি গ্রামে। আহত হয়ে বেশ কয়েকজন ভর্তি সিউড়ি হাসপাতালে। অন্যদিকে কনের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বউভাতের দিন বর সহ বরপক্ষের চারজনকে গ্রেফতার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours