TET Scam: বরখাস্ত শিক্ষকেরা চাইলে চাকরিতে যোগ দিতে পারেন, জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

তবে নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, চাকরির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে শীর্ষ আদালতের রায়ের উপর।
WEST-BENGAL-BOARD-OF-PRIMARY-EDUCATION-16626997044x3
WEST-BENGAL-BOARD-OF-PRIMARY-EDUCATION-16626997044x3

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনিভাবে চাকরি (TET Scam) পেয়েছিলেন, এই অভিযোগে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ১৩ জুন এই রায় দেন বিচারপতি। এরপরই চাকরি হারানো শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্ট গত ১৮ অক্টোবর চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও রায় না দিলেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Board) জানিয়ে দিল, চাইলে বাতিল হওয়া  শিক্ষকেরা পুনরায় চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন।

আরও পড়ুন: সকালে গরম, বিকেলে নরম...! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

এই মর্মে জেলা বিদ্যালয় সংসদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (Primary Education Board)  তরফে ২২ জন জেলা বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল (TET Scam) তাঁরা চাইলে স্কুলে যোগ দিতে পারবেন। তবে নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে,চাকরির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে আদালতের রায়ের উপর। চলতি মাসের ২ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরি বাতিল হওয়া ওই প্রাথমিক শিক্ষকেরা। চাকরিতে যোগদান করতে দিক রাজ্য, এই  আর্জি জানিয়ে আবেদন করেন শীর্ষ আদালতে। অবিলম্বে বেতন চালু করার আবেদনও জানান তাঁরা। দ্রুত শুনানি চেয়ে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

আরও পড়ুন: ৬০০ দিন পেরোলো চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন, আরও জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

শীর্ষ আদালতের রায়ের আগেই এমন সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল? এই প্রশ্নের উত্তরে পর্ষদ (Primary Education Board) সূত্রে বলা হয়, আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা হয়েছিল এবং ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা। ২০১৭ সালে অতিরিক্ত একটি মেধাতালিকাও প্রকাশিত হয়। কিন্তু, দ্বিতীয় তালিকাতে অনিয়ম হয়েছে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles