মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তত প্রকট হচ্ছে। দুদিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটি কাঠের কারখানায় পুরনো দুজন তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল দলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বরের পিয়াসাড়ায় ফের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল দলেরই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অপর গোষ্ঠীর চালানো গুলিতে জখম হলেন এক তৃণমূলকর্মী। টাঙ্গির কোপে গুরুতর আহত ওই নেতার নাম শেখ সাইদুল মোল্লা। গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন মুন্সি মুকাদ্দার। আহত অবস্থায় ২ জনকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতায় রেফার করা হয়েছে সাইদুল মোল্লাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)
হুগলির (Hooghly) পিয়াসাড়া বাসস্ট্যান্ডে একটি চায়ের দোকানের সামনে বসেছিলেন শেখ সাইদুল মোল্লা। আচমকা কয়েকজন এসে তাঁর উপর টাঙ্গি দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণে বাঁচতে তিনি চায়ের দোকানের ভিতরে ঢুকে গেলে, সেখানেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন ধরেই এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে তৃণমূলের নতুন সংগঠন তৈরি হয়েছে। তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জখম তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজনের দাবি।
যদিও অপর গোষ্ঠীর দাবি, শেখ সাইদুল-সহ বেশ কয়েকজন পার্টি অফিস দখল করছিল। মুন্সি মুকাদ্দার নামে দলের অপর গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মী পার্টি অফিসের সামনে ছিলেন। হঠাৎ তাঁকে মারধর করে সাইদুল ও তাঁর দলবল। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। এরপর স্থানীয়রা সাইদুলকে মারধর করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বেশ কয়েকজন যুবক একটি বাইকে এসে সাইদুলকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে এবং দোকানে ভাঙচুর চালায়।
তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?
এ বিষয়ে তারকেশ্বর তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রদীপ সিংহরায় বলেছেন, পার্টি অফিস দখল ঘিরে গন্ডগোলের সূত্রপাত। এই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours